দুর্গাপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি বা এনআইটিতে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু। রবিবার দুর্গাপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (এনআইটি) হস্টেলে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া অর্পণ ঘোষের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।অভিযোগ, পরীক্ষাহলে নিজের আইডি কার্ড নিয়ে যেতে ভুলে যান অর্পণ।
তাই তাঁকে পরীক্ষায় বসতেই দেওয়া হয়নি। এরপরই ঘরে ফিরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ।কলেজের পড়ুয়াদের দাবি, অর্পণকে যখন তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়, তখনও তাঁর হৃদযন্ত্র সচল ছিল। অ্যাম্বুল্যান্স আনা হলেও তারা বলে রিপোর্ট লেখাতে হবে, আইডি কার্ড দেখাতে হবে। ছাত্রদের অভিযোগ, অর্পণকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করার পর অনেকক্ষণ বেঁচে ছিলেন।
কিন্তু এনআইটির নিজস্ব হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র না থাকা এবং দীর্ঘ ২০ মিনিট অর্পণকে ফেলে রাখার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়।চিকিৎসক ও ডিরেক্টরের চরম গাফিলতিতেই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে ডিরেক্টরকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা।রবিবার রাত প্রায় ১০ টা পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি চলে।
কিন্তু পুলিশকে ডাকলেও তারা আসেনি বলে অভিযোগ ডিরেক্টর অরবিন্দ চৌবের। ডিরেক্টর অরবিন্দ চৌবের অভিযোগ, পড়ুয়াদের চাপে ও শারীরিক নিগ্রহের ভয়ে তাদেরই লেখা ইস্তফাপত্রে সাক্ষর করতে বাধ্য হন। তিনি জানান, “রবিবার রাতে পড়ুয়ারা জোর জবরদস্তি করে তাদের লিখে আনা ইস্তফাপত্রে সই করায়। না করলে মারধর করবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।
আমার রুমের দরজা ভেঙে এনআইটির সিল নিয়ে এসে ইস্তফা পত্রে জোর করিয়ে সিল মারায় আমাকে দিয়েই।” তিনি আরও জানান, “ওই ছাত্রের মৃত্যু অত্যন্ত বেদনাদায়ক। গাফিলতি যদি থাকে তা আলোচনা করে মেটানো সম্ভব ছিল। কিন্তু তা করেনি পড়ুয়ারা। ওই অবস্থায় আমি পুলিশকে বারবার বললেও তারা আসেনি। এটা দুর্ভাগ্যজনক।”