লোকসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে এবার প্রকাশ্য সভা থেকে ক্ষমা চাইলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।দীর্ঘদিন ধরেই সুজাপুরের বিধায়ক আবদুল গনির দেখা নেই এলাকায়। যা নিয়ে একাধিকবার ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা। রবিবার সুজাপুরের প্রচারসভা থেকে ক্ষমা চেয়ে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মালদহ দক্ষিণের সুজাপুরের বিধায়ক আবদুল গনি। ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যানও তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই সুজাপুরে অনুপস্থিত তিনি। এলাকায় তাঁর দেখা মেলে না বলেই দাবি। তা নিয়ে এর আগে বিস্তর জলঘোলাও হয়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেও আবদুল গনির ভূমিকায় উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন।
তার পর দীর্ঘদিন পেরিয়েছে। কিন্তু বিধায়কের আচরণে পরিবর্তন দেখা যায়নি। রবিবার মালদহ দক্ষিণের প্রার্থী শাহনওয়াজ আলি রায়হানের প্রচারে জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই এলাকায় বিধায়কের অনুপস্থিতি নিয়েই কার্যত বিরক্ত প্রকাশ করলেন তিনি। প্রকাশ্য জনসভা থেকেই এবার আব্দুল গনির প্রসঙ্গে জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন খোদ তৃণমূল নেত্রী।
তৃণমূল সুপ্রিমো এদিন সুজাপুরের জনসভা থেকে বললেন, “প্রথমেই আপনাদের কাছে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কারণ, যদি কেউ ভুল ত্রুটি করে, তাতে যদি দলে কোনও অভিমান হয়, তাহলে মানুষের কাছে ভুল স্বীকার করে নেওয়া উচিত। আমি মনে করি মানুষই জনতা-জনার্দন। তাই আমি ভুল স্বীকার করছি।”এ
রপরই সুজাপুরবাসীর উদ্দেশে মমতার সংযোজন, “বিধানসভা ভোটে আপনারা গনি সাহেবকে জিতিয়েছিলেন। আমরাও মালদাকে মর্যাদা দিয়ে তাঁকে ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান করেছি। কিন্তু তিনি এলাকায় আসতে সময় পান না। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, এবার থেকে তাঁর কেন্দ্রটা আমি নিজে দেখব।”
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, সুজাপুরের দায়িত্বে থাকবেন তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র আশিস কুণ্ডু এবং বাকি দায়িত্বটুকু মমতাই দেখে নেবেন। এদিকে সুজাপুরবাসীর উদ্দেশে মমতার বার্তাকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, ‘এসব শুনতে শুনতে, দেখতে দেখতে মানুষ ক্লান্ত।
এর আগে ২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, আগে জানলে এদের টিকিটই দিতাম না। পরে তাঁদেরই মন্ত্রী করে দলের বিভিন্ন পদে বসিয়ে দিলেন।’