হাইকোর্টের রায়ে চাকরি খুইয়ে শহীদ মিনারে বুধবারও জমায়েত হয় ‘যোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীরা। শহিদ মিনার চত্বরে চলছে বিক্ষোভ অবস্থান।এক চাকরিপ্রার্থী জানান, “আমরা এখন দলে দলে গিয়ে সবাই আত্মহত্যা করব। গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে কমিশনের সামনে সুইসাইড করব। এছাড়া আর পথ কী খোলা? আমরা যোগ্য।
পাঁচ হাজার জন চুরি করেছে, তার খাঁড়া আমাদের এসে পড়ল, আমরা জানতেও পারলাম না। আমার ১০ হাজার টাকা লোন চলে। কিছুদিন পর স্যালারি বন্ধ হয়ে যাবে। কে নেবে আমাদের দায়িত্ব?” আরেক চাকরিপ্রার্থী জানান, “আজকে খাচ্ছি, কালকে কীভাবে খাব, সেটাই ভাবাচ্ছে। খাই না খাই, লোনের টাকা তো দিতে হবে।
অনেকেই তো লোন নিয়ে বাড়ি বানিয়েছে, গাড়ি কিনেছে। আমাদের ভবিষ্যৎ পুরোটাই অনিশ্চিত।”এই নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েনও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “দায় তো মুখ্যমন্ত্রী। যদি রাজ্যের তরফে যোগ্য অযোগ্যদের বাছাই করে তালিকা আদালতে দিত, তাহলে তো এই অবস্থা হত না।
ক্ষমা চেয়ে নিত। অযোগ্যদের নামটা আলাদা করে দিত।” অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “২৬ হাজার শিক্ষককে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। আবার এক মাসের মধ্যে সুদ দিয়ে টাকা ফেরত দিতে হবে।
বিজেপি নেতাদের বলি, এই সব কেস করে সরকারি কর্মীদের চাকরি খাচ্ছো, আপনাকে বললে পারবেন দিতে টাকা ফেরত? বাংলার কি সব স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে? শিক্ষকের চাকরি কি আর হবে না?”