Saturday, September 21, 2024
spot_img
spot_img
Homeরাজ্যবাতিল এসএসসি নিয়োগের পুরো প্যানেল, চাকরি হারালেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন

বাতিল এসএসসি নিয়োগের পুরো প্যানেল, চাকরি হারালেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন

লোকসভা নির্বাচনের মাঝে এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় জোর ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার।২০১৬ এসএসসি নিযোগ প্রক্রিয়ার গোটা প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ।এদিন রায় দিল বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ।ভোটের আবহে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দ্বাদশের ২০১৬ প্যানেল বাতিল হওয়ায় জোর ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার।চাকরি হারালেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন।পত্রিকাটি মুদ্রণে যাওয়া পর্যন্ত আদালতের রায়ের অর্ডার কপি আপলোড হয়নি। তবে ২৪ হাজার ৬৪০ শূন্যপদ ছিল গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ মিলিয়ে। তবে বোর্ড যে তথ্য দেয় তাতে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের নিয়োগপত্র ইস্যু করে। তবে নিয়োগপত্র ইস্যু হলেও সকলেই যে চাকরি পেয়েছেন তেমনটা নয়। ফলে সংখ্যাটা ২২ হাজারের মতো হতে পারে। রায়ের কপি সামনে এলে সংখ্যাটা স্পষ্ট হবে।ভোট আবহে সোমবার সকাল থেকেই সকলের নজর ছিল আদালতের রায়ের দিকে। নজর ছিল বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চের সিদ্ধান্তের দিকে। সূত্রের খবর, প্রায় ২৮০ পাতার রায় প্রস্তুত ছিল এসএসসির চাকরি বাতিলের মামলার রায়ের জন্য। সোমবার নির্ধারিত সময়মতো সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ কলকাতা হাই কোর্টে এসএসসি মামলার রায় পড়তে শুরু করেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক।এদিন রায়দান হয় নটি ইস্যুতে। সেখানে বিচারপতিদ্বয় বলেছেন সতেরো উপায়ে সরকারি চাকরি চুরি করা হয়েছে।এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত সব মামলা গ্রহণযোগ্য বলেই পর্যবেক্ষণ বিচারপতি বসাকের। ২০১৬ সালের বিতর্কিত গোটা প্যানেলই খারিজ করার সিদ্ধান্তের কথা জানান। তার ফলে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের নিয়োগ বাতিল বলে জানাল আদালত। শুধুমাত্র সোমা দাস নামে এক চাকরিপ্রাপকের চাকরি থাকবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। কারণ, তিনি ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত। মানবিক কারণে তাঁর চাকরি বহাল রেখেছে আদালত।আদালত জানিয়েছে, এসএসসি প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে হবে। সুদের হার হবে বছরে ১২ শতাংশ। চার সপ্তাহের মধ্যে বেতন ফেরত দিতে বলেছে আদালত।ডিআই এবং জেলাশাসকের মারফত এই টাকা ফেরাতে হবে। ৬ সপ্তাহের মধ্যে টাকা ফেরতের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে জেলাশাসককে।এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়ার অনেক ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে ইতিমধ্যে আপলোড করা হয়েছে। যেগুলি এখনও আপলোড করা হয়নি, সেগুলি দ্রুত আপলোড করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। উত্তরপত্র জনগণ যাতে দেখতে পান, সেই ব্যবস্থাও করতে হবে কমিশনকে।নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ওএমআর প্রস্তুতকারক সংস্থা নাইসার বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত। হাই কোর্টের মতে, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলের পরে সমস্ত নিয়োগই অবৈধ। একইসঙ্গে আদালত জানিয়েছে, এই মামলার তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির জন্য চাইলে সন্দেহভাজনদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করতে পারবে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এদিনের শুনানিতে বিচারপতি দেবাংশু বসাক দুটি কথা উল্লেখ করেছেন। বিচারপতি জানিয়েছেন, তাঁদের আর কোনও উপায় ছিল না, তাই এই গোটা প্যানেল বাতিল করা হয়েছে। দুই. রাজ্য সরকার কোথাও জানত, এই প্যানেলে কোথাও কোনও দুর্নীতি হয়েছে, তার জন্যই সুপার নিউমেরিক পোস্টের আবেদন তারা করেছিল। আইনজীবী সুদীপ্ত বসাক বলেন, “বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যে ধরনের অভিযোগ উঠছিল, যে তিনি প্রভাবিত হয়ে এই ধরনের রায় দিয়েছিলেন। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে এটাও স্পষ্ট, দুর্নীতি হয়েছিলই। তার পুরো প্যানেল বাতিল করল। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় অনেক দয়ালু, তাই পুরো প্যানেল বাতিল করেননি।” প্রসঙ্গত, এর আগে বিচারপতি থাকাকালীন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলায় প্রায় ৫ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে সুপ্রিম কোর্টে এই নিয়ে মামলা করেছিলেন চাকরিপ্রাপকরা। পরে সেই মামলা শীর্ষ আদালত থেকে হাই কোর্টের বিশেষ বেঞ্চে পাঠানো হয়। ৬ মাসের মধ্যে বিচার শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো এসএসসি গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম দশম ও একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগ সংক্রান্ত শুনানি চলছিল এতদিন।এদিন এই মামলার রায়তে বড় ধাক্কা খেলেন চাকরিপ্রাপক এবং রাজ্য সরকার।

Html code here! Replace this with any non empty raw html code and that's it.

Most Popular

error: Content is protected !!