২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক, বিচারপতি মহম্মদ সাব্বির রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের রায়ের পরই বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি।
বলেন, “একটা সময় যে বা যাঁরা এই অপকর্ম করেছে, চক্র তৈরি করেছে অনেক আগে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ ছিল। দুর্ভাগ্যবসত তখন তাঁরাই ছড়ি ঘুরিয়েছে। যাঁরা বলতে যেতে তাঁরা অপ্রিয় হত। কেন বাতিল করতে হল এই সমস্যার উত্তর দিতে হচ্ছে গুটি কয়েক লোকের জন্য।”
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপর তোপ দেগে বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে গুটি কয়েক লোকের জন্য এই প্রশ্নের উত্তর এখন ভোটের মুখে দিতে হচ্ছে। এটা অবাঞ্ছিত। কিন্তু চরম ঔদ্ধত্যের সঙ্গে যে পাপটা করে গিয়েছেন তার জন্য সরকারকে দলকে উত্তর দিতে হচ্ছে।
এই পাপটা ধারাবাহিকভাবে করছেন। অনেক আগে বন্ধ করা উচিত ছিল। সেটা না হওয়ায় সরকার বিরোধী চেহারা নিয়ে ভোটের মুখে উপস্থিত হল।” অপরদিকে, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে বিষয়টিকে চিন্তার বলে মনে করি। যেভাবে বিজেপি যোগ্য মানুষের চাকরি যাওয়াতে আনন্দ প্রকাশ করছে এটা সার্বিকভাবে এটা চিন্তার।”
ব্রাত্য বলেন, “ভোটে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। অযোগ্যদের বের করে দিয়ে নতুন নিয়োগ দিতে চাই আমরা। সেই আবেদন হাই কোর্টে করেছিল এসএসসি-ই।”