অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা
ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো বিজেপি প্রার্থী অভিজিত দাসের এবার জামানত জব্দ হবে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বিজেপি প্রার্থী সম্পর্কে এ ধরণের অসম্মানসূচক মন্তব্য ঘিরে সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিজেপির ডায়মন্ডহারবার সাংগঠনিক জেলার একাধিক পদাধিকারী ওই মন্তব্য কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। ওই কার্যকর্তারা বলছেন, সন্ত্রাস, ভোট লুট ও পুলিস এবং প্রশাসন কে ব্যবহার করে তৃণমূল এই ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রে জিতে আসছে। বিগত লোকসভা, বিধানসভা থেকে পঞ্চায়েত এ এমনটা হয়েছে। যদি সাহস থাকে এর বাইরে এসে স্বচ্ছতা র সঙ্গে ভোট যুদ্ধে তৃণমূল লড়াই করে দেখাক। বিজেপির ডায়মন্ডহারবার সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দীপক হালদার বলেন, ব্রাত্য বসু একজন সম্মানীয় এবং তিনি এই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বটে। ভোট প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই তাঁর মতো ওজনদার একজন ব্যক্তি এমন কথা বলেন কি করে? তা হলে কি, এই কেন্দ্রের ভোট প্রক্রিয়ার সঙ্গে কোনও গোপন খেলা চলছে যা র নিয়ন্ত্রক তৃণমূল। এই কারণেই কি বিরোধী দল সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী এমন একটা ভবিষ্যৎবাণী করলেন? কারণ ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব এইভাবে ঘোষণা করেছিল খেলা হবে। তারপর ভোট গণনার সময় বিরোধীদের গণনা কেন্দ্র থেকে মারধর করে যা খেলা হল তা সকলে অবগত। তবে এবার পাল্টা চ্যালেঞ্জ করছি তৃণমূল কে। এই লোকসভা কেন্দ্রের আহ্বায়ক দেবাংশু পান্ডা বলেন, যদি এবার ফ্রি ও ফেয়ার ভোট হয়, তাহলে তৃণমূল কে বুঝিয়ে দেবো লড়াই কাকে বলে। কে কত ভোট পেতে পারে তা জনতাই ভোট বাক্সে দিয়ে দেবে। আসলে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে অভিজিত দাসের নাম ঘোষণা হওয়ার জন্য ভয় পেয়ে গিয়েছে। তাই এমন মন্তব্য করে বিজেপি দলকে হেয় করার চেষ্টা করছে। তাতে লাভ হবে না। দলের সহ সভাপতি সুফল ঘাঁটু বলেন, মন্ত্রী ব্রাত্য বসু র জেনে মন্তব্য করা উচিত। না হলে হাস্যস্পদ হতে হয়। ওঁনার জানার জন্য বলি ২০০৯ সালে বিজেপি এখানে অভিজিত দাসকে প্রার্থী করে। তখন বাম আমল। বিজেপির কিছু ছিল না। প্রতীক চেনাতে উনি প্রার্থী হন। ২০১৪ সালে অভিজিত বাবু প্রার্থী হয়ে সিপিএম ও তৃণমূলের সঙ্গে লড়তে হয়। সিপিএম পায় ৪ লাখ ৬৫ হাজার। তৃণমূল পায় ৫ লাখ ৩৫ হাজার। বিজেপি পেয়েছিল ২ লাখের উপর ভোট। জামানত জব্দ হয়নি কিন্ত। ২০১৯ সালে নীলাঞ্জন রায় বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়ান। তিনি পান ৪ লাখ ভোট। তৃণমূল নানাভাবে অত্যাচার ও ভোট লুট করার পর ও। তাহলে এবার কি হতে পারে সময় উত্তর দেবে।