কলকাতা: গার্ডেনরিচ কাণ্ডের রেশ এখন কাটেনি। এবার পুরসভার নজরে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের অরবিন্দ আবাসন এলাকার একটি হেলে পড়া বাড়ি। বহুতলটি খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দরকারে বাড়িটি ভেঙে ফেলবে পুরসভা, জানিয়েছেন বোরো চেয়ারম্যান।উল্টোডাঙ্গা অরবিন্দ সেতুর কাছে, কলকাতা পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিপ্লবী বারীন ঘোষ সরণী।
পূর্বতন মুরারী পুকুর রোড। ৪৬/সি/২৯ নম্বর বাড়িটি বিপজ্জনক ভাবে হেলে রয়েছে ডান দিকে । বাড়ির ৩, ৪ তলা প্রায় পাশের বাড়ি অর্থাৎ ৪৬/সি/২৮- এর মাথা ছুঁয়ে ফেলেছে। গার্ডেনরিচ বহুতল বিপর্যয়ের পর পুরসভার প্রতিটি বোরোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল হেলে পড়া, বিপজ্জনক বাড়ির তালিকা তৈরী করার।
তালিকা তৈরী করার সময় পুরসভার নজরে আসে এই বাড়িটি। ২০০১ সালে তৈরি হয়েছিল বাড়িটি। শুরু থেকেই সামান্য হেলে ছিল। কীভাবে বাড়ি তৈরীর অনুমোদন মিলেছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিক্রিই বা কিভাবে করা হল, ২০০১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কলকাতা পুরসভা বাসিন্দাদের কাছ থেকে কর আদায় করে গেছে, নানান বিষয় নিয়ে প্রশ্ন নাড়াচাড়া দিচ্ছে শহরবাসীর মনে।
কলকাতা পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড ৩ নম্বর বোরোর অন্তর্ভুক্ত। বোরো চেয়ারম্যান অনিন্দ্য কিশোর রাউত জানিয়েছেন, বাড়িটির প্রত্যেক ফ্ল্যাটের বাসিন্দাকে বাড়ি খালি করার নোটিশ দিয়েছে পুরসভা। তারা অন্যত্র সরে গেলে বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হবে।
যেহেতু নিজেরাই প্ল্যান অ্যাপ্রুভ করিয়ে কলকাতা পুরসভাকে দিয়ে তা অনুমোদন করিয়েছে সেই কারণে আলাদা করে পুরসভার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কোনো ব্যাপার নেই।