‘হেলথ ড্রিঙ্কে’র তকমা হারাল বর্নভিটা।সিআরপিসি অ্যাক্ট ২০০৫ এর সেকশন ১৪ এর আওতায় এক তদন্ত চালিয়েছিল ন্যাশনাল কমিশন অফ প্রোটেকশন ফর চাইল্ড রাইটস। তারা তদন্ত চালিয়ে দেখেছে, বর্নভিটায় রয়েছে মাত্রারিক্ত চিনি। হেলথ ড্রিঙ্কে যে পরিমাণ চিনি থাকা উচিত, তা পেরিয়ে গিয়েছে বর্নভিটা।
ফলে তা কখনই স্বাস্থ্যকর পানীয়ের তালিকায় থাকতে পারে না, জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। উল্লেখ্য, এর আগে ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’কে ‘ন্যাশনাল কমিশন অফ প্রোটেকশন ফর চাইল্ড রাইটস’ তরফে এই সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছিল। যদিও সেই সময় অভিযুক্ত কোম্পানিটি জানিয়েছিল, তাদের পানীয় ছোটদের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ।
পানীয়ে কী কী উপকরণ রয়েছে তাও জানিয়েছিল কোম্পনিটি।তদন্ত রিপোর্ট অন্য কথা বলছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, বিপজ্জনক মাথা চিনি ছাড়াও, ক্ষতিকারক রং, অতিরিক্ত কোকো ব্যবহার করা হয় বর্নভিটায়। যা শিশুদের শরীরের জন্য বিষের সমতুল্য।
প্রতি চামচে এত পরিমাণ চিনি ঢোকে বাচ্চার শরীরে যা পরবর্তী সময়ে নানারকম অসুখের কারণ হয়ে উঠতে পারে। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, বর্নভিটার ২ চামচ মানে ২০ গ্রামে সাড়ে সাতগ্রামেরও বেশি চিনি থাকে। প্রতি ১০০ গ্রামে চিনি থাকে ৭৩.১ গ্রাম।বিশেষজ্ঞদের দাবি,
এখনকার বাচ্চাদের ছোট থেকেই ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ, লিভারের অসুখ দেখা দিচ্ছে। বেশিরভাগই ভুগছে ওবেসিটিতে। তার অন্যতম কারণ বাজারচলতি হেলথ ড্রিঙ্ক। বাবা-মায়েরা বিজ্ঞাপনী চমকে ভুলে বাজার থেকে হেলথ ড্রিঙ্কই কিনে আনছেন। এতে লাভের বদলে ক্ষতি হচ্ছে বেশি।