সন্দেশখালিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগ মান্যতা পেল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বা এনএইচআরসি-র রিপোর্টেও।কমিশনের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, শাহজাহানের দুই সাগরেদ – শিবু হাজরা, উত্তম সর্দাররা যে কোনওরকম অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত।
তৃণমূলের পার্টি অফিসে ডেকে মহিলাদের গণধর্ষণের অভিযোগকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে সেই রিপোর্টে। মানবাধিকার কমিশনের আরও পর্যবেক্ষণ, অভিযুক্তদের রাজনৈতিক প্রভাব থাকায় অনেকেই অভিযোগ করতে পারেননি। এই ধরনের ঘটনা রুখতে অবহেলা ছিল বলেও প্রকারান্তরে আঙুল তোলা হয়েছে প্রশাসনের দিকেই।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সেখানকার পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে কমিশনের একটি দল। তার ভিত্তিতেই সন্দেশখালির পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ করতে ১২ দফা সুপারিশ করেছে কমিশন।সুপারিশগুলির মধ্যে রয়েছে সন্দেশখালিতে আইনের শাসন সম্পর্কে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা,
অপধারমূলক কাজের সাক্ষীদের নিরাপত্তা দেওয়া এবং অভিযোগগুলির নিষ্পত্তি করা, যৌন অপরাধের শিকার যাঁরা, তাঁদের কাউন্সেলিং এবং পুনর্বাসনের বন্দোবস্ত করা।সন্দেশখালিতে শাহজাহান শেখ এবং তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের জমি জোর করে দখল করার অভিযোগ উঠেছে।
এর প্রেক্ষিতে মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশে ‘দখলিকৃত’ জমি বৈধ মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তা ছাড়াও কমিশনের সুপারিশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (ইডি)-র করা অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত, স্থানীয়দের সচেতনতা বৃদ্ধি, তাঁদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা,
দখলিকৃত জমিকে চাষের জন্য উপযোগী করে তোলা, সন্দেশখালি থানা এলাকায় ‘নিখোঁজ’ মেয়েদের উদ্ধারে তদন্ত চালানোর কথা বলা হয়েছে। এই সুপারিশগুলির ভিত্তিতে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ নিল, তা নিয়ে আগামী ২ মাসের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।