পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল বলে কিছু নেই। এবার লড়াই রাজ্য পুলিশের সঙ্গে। সোমবার লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক অনিল কুমার শর্মার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বেরিয়ে এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নির্বাচন কমিশনে তিনি কী কী অভিযোগ জানিয়েছেন সাংবাদিকদের সামনে তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন।
এ দিন, বিজেপি নেতা ২০২১-এর ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে যেমন নালিশ ঠুকেছেন, তেমন ভোটের সময় এ রাজ্যে কতখানি হিংসা হয় সেই বিষয়কেও কমিশনকে অবগত করেছেন বলে জানিয়েছেন নিজেই।শুভেন্দু বলেন, “আমরা ২১-এর বিধানসভা ভোটের পরবর্তী কথা জানিয়েছি। ভোটের পর ১২ হাজার মামলা হয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। ৬১ এফআইআর সিবিআই করেছে। আমরা বিভিন্ন তথ্য দেখিয়েছি।” বিরোধী দলনেতার দাবি, আমরা বলেছি আজ পর্যন্ত ১৫টা রাজ্যে ভোট হয়েছে। কোথাও ভোটের দিন, ভোট গণনার দিন বা ভোটের পর হিংসার ঘটনা ঘটে না। একমাত্র বাংলা বাদে।এখানেই শেষ নয়।
ভোটে হিংসার ঘটনার বিভিন্ন নথি তিনি তুলে ধরেছেন কমিশনে। বলেছেন, “২৩-এর পঞ্চায়েতের রেফারেন্স দিয়েছেন। কীভাবে ৮২০ কোম্পানি বাহিনী এসেছিল। ৫৫ জন মারা গিয়েছেন। প্রার্থী খুন হয়েছে। গণনা সেন্টারে কাউন্টিং এজেন্টরা ঢুকতে পারেননি। প্রায় এক কোটি ভোটার ভোট দিতে পারেননি।”
শুভেন্দু বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল বলে কিছু নেই। পুলিশ হচ্ছে মূল প্রতিপক্ষ। প্রায় ১৫০০০ অভিযোগে ১০৭ ধারা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে ১৩০০০এর বেশি ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়েছে এই ধারা।” বিজেপি নেতার কথায়, বাংলার মানুষ শান্তি চায়। সব রাজনৈতিক দল চায় যাতে শান্তিপূর্ণভাবে মিটিং-মিছিল-প্রচার করা যায়।