এনআইএ, সিবিআই, ইডি এবং আয়কর দপ্তরের মাথাদের বদলির দাবিতে এবার দিল্লিতে গিয়ে সুর চড়ালেন তৃণমূল।কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে সোমবারই দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে দেখা করে ডেরেক ও’ব্রায়েন, শান্তনু সেন, অর্পিতা ঘোষ, দোলা সেন, সুদীপ রাহা-সহ তৃণমূলের ১০ জনের প্রতিনিধি দল।
কমিশনের কাছে নিজেদের অভিযোগ এবং দাবি জানিয়ে বাইরে এসে ধর্নায় বসে পড়ে তারা। ২৪ ঘণ্টা ধর্নায় বসার ঘোষণা করেন তৃণমূল সাংসদেরা। কিন্তু কয়েক মিনিট পরেই সেই ধর্না তুলে দিতে আসরে নামে দিল্লি পুলিশ। প্রথমে পুলিশ তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সদস্যদের কমিশনের সামনে থেকে সরে যেতে বলে।
কিন্তু ২৪ ঘণ্টার আগে তারা ধর্না তুলবে না, এমন দাবিতেই অটল থাকে তৃণমূল প্রতিনিধি দল। তার পরই ধর্না তুলতে শুরু করে পুলিশ। শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি।অভিযোগ, তৃণমূল সাংসদের টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সেখান থেকে। আটক করা হয় সাংসদদের। বাসে চাপিয়ে তাদের মন্দিরমার্গ থানায় নিয়ে যায় দিল্লি পুলিশ।
পুলিশ তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে বাসে তুলে নিয়ে যাওয়ার আগে দোলা সেন সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘মোদীবাবু, অমিত শাহ যদি মনে করে থাকেন সবই তাঁদের জমিদারি… যদি মনে করেন কেন্দ্রীয় এজেন্সগুলি বিজেপিরই একটি প্রতিষ্ঠান… তাহলে তাঁরা ভুল করছেন। আমরা সেটাই নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি।
আমরা চাই নির্বাচন কমিশন সমান মাঠে খেলার ব্যবস্থা করুক।’ এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন জানান, ‘কৃষিভবনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল আজ। আমরা তো বলেছি, দেশজুড়ে জমিদারি রাজ চলছে। এদিন সেটাই আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল।’ যদিও তৃণমূলের এই দিল্লিযাত্রাকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিজেপি শিবির।
বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, ‘ফটোসেশন করতে গিয়েছে, যাতে মিডিয়া পাবলিসিটি পায়। বাজার খুব খারাপ, মিটিংয়ে লোক হচ্ছে না।’