৫৫ বছরের এক মহিলাকে অর্ধনগ্ন করে ঘোরানোর অভিযোগ উঠল পাঞ্জাবের তারন তারন এলাকায়।ভয়াবহ ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই আটক করা হয়েছে তিনজনকে। সূত্রের খবর, গত মাসে ওই প্রৌঢ়ার ছেলে পাশের গ্রামের তাঁর প্রেমিকাকে পরিবারের অমতে বিয়ে করেছিলেন। এই ঘটনা ঘিরে তরুণীর পরিবার অশান্তি শুরু করে।
আচমকা তরুণীর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে প্রৌঢ়ার উপর চড়াও হয় কয়েকজন। শারীরিক নির্যাতনের পর প্রৌঢ়াকে অর্ধনগ্ন করে গ্রামের রাস্তায় ঘোরানো হয়। সেই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে দেয় তারা। সমাজমাধ্যমে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়তেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ।পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে। অভিযুক্তদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সকলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুরো বিষয়টির তীব্র নিন্দা করেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান রেখা শর্মা। তিনি বলেন, ”কেউই ওঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। না পুলিশ না স্থানীয় বাসিন্দারা। আমি আমাদের এক সদস্যকে ঘটনা খতিয়ে দেখতে ওখানে পাঠিয়েছি।” এদিকে এই ঘটনার জেরে পাঞ্জাবের আম আদমি সরকারকে তোপ দেগেছে বিজেপি।
গেরুয়া শিবিরের নেতা এস এস চান্নি বলেছেন, ”পাঞ্জাব সরকার মহিলাদের অধিকার রক্ষা করতে ব্যর্থ। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবত মান দেখিয়ে দিলেন, তালিবান কেবল আফগানিস্তানেই নেই। পাঞ্জাবেও তালিবান রয়েছে। ওই মহিলা অসহায়ের মতো একটা পিলার থেকে অন্য পোস্টের দিকে ছুটে গিয়ে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু কেউই সাহায্য়ের জন্য এগিয়ে আসেনি।”