হারের হ্যাটট্রিকের পর জয়ে ফিরল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। রবিবার ডবল হেডারের প্রথম ম্যাচে ওয়াংখেড়েতে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ২৯ রানে হারল মুম্বই। টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লির অধিনায়ক পন্থ।প্রথম ওভার থেকেই দিল্লি বোলারদের আক্রমণ শুরু করেন হিটম্যান। প্রিয় পুল শট মারতেও দেখা যায় তাঁকে।
রোহিতের চার-ছয়ের বন্যায় ৬ ওভারে মুম্বইয়ের স্কোরবোর্ডে ৭৫ রান উঠে যায়। তার মধ্যে প্রাক্তন মুম্বই অধিনায়কেরই রান ছিল ৪৯। সঙ্গে ঈশান কিষান যোগ্য সঙ্গ দিয়ে গেলেন। যদিও পরের ওভারেই ফিরে যান রোহিত। অক্ষর প্যাটেলের (৩৫/৪) বলে বোল্ড হয়ে অর্ধশতরান মাঠেই ফেলে আসেন তিনি। চোট থেকে ফেরা সূর্যকুমার যাদব (০) সম্পূর্ণ ব্যর্থ।
হার্দিক পাণ্ডিয়া ৩৯ রান করলেও নিয়ে ফেললেন ৩৩ বল। সেখান থেকে মুম্বইয়ের স্কোরবোর্ডের গতি বাড়িয়ে দেন টিম ডেভিড। ২১ বলে ৪৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ ওভারে ৩২ রান নেন রোমারিও শেফার্ড (৩৯)। মুম্বইয়ের রান পৌঁছে যায় ২৩৪-এ।বিরাট রানের বোঝা মাথায় নিয়ে ম্যাচ জেতা মুশকিল ছিল দিল্লির।
জশপ্রীত বুমরাহ এদিন ফের বাজিমাত করে গেলেন। ৪ ওভারে মাত্র ২২ দিয়ে তুলে দিলেন পৃথ্বী শ (৬৬) আর অভিষেক পোড়েলের (৪১) উইকেট। অজি ব্যাটার ডেভিড ওয়ার্নার (১০) দ্রুত ফিরে যাওয়ার পর দিল্লির ব্যাটিংকে ভরসা দিচ্ছিলেন দুই ভারতীয়। মুম্বইয়ের বোলিংয়ের আরেক অস্ত্র জেরাল্ড কোয়েৎজি এদিন ৪ উইকেট তুলে নিলেন।
মাত্র ১ রানে ফেরালেন দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ পন্থকে। একটা সময় দিল্লির জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান রেট ছিল ১৬-র উপরে। তখনই জ্বলে ওঠেন স্টাবস। তাঁর মারকুটে ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল, দিল্লি জিতেও যেতে পারে। ২৫ বলে অপরাজিত ৭১ রান করেন তিনি। কিন্তু বিপরীত দিকে কাউকে সঙ্গে পেলেন না। শেষ পর্যন্ত ২৯ রানে হেরে যায় দিল্লি।