বান্টি মুখার্জি, ক্যানিং : মানুষের প্রতি প্রকৃতি যেন বিরুপ! চলছে খামখেয়ালিপনা আবহাওয়া। সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার ক্যানিং শহর। নিত্যদিন ক্যানিং শহরের বুকে লক্ষ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করেন। প্রচন্ড গরমে সাধারণ মানুষ অতিষ্ট। তৃষ্ণা মেটাতে পানীয় জলের টিউবওয়েল খুঁজতে হিমশীম খেতে হয়।
অগত্যা নিরুপায় হয়ে গাঁটের কড়ি খরচ করে পানীয় জল কিনে তৃষ্ণা মেটাতে হয় অধিকাংশ সময়ে। অবশেষে প্রচন্ড গরমে সাধারণ তৃষ্ণার্ত মানুষদেরকে স্বস্তিঃ দিতে আসরে অবতীর্ণ হলেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস। নিজ উদ্যোগে শনিবার ক্যানিং বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় চালু করলেন ‘জলসত্র’।
তৃষ্ণা মেটাতে শুধুই পানীয় জলের আয়োজন নয়, সাথে রয়েছে ছোলা, বাতাসা। প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষজন তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য সুশীল সরদার, দিঘীরপাড় পঞ্চায়েত প্রধান শিলাদিত্য রায় সহ অন্যান্যরা।
কেন এমন উদ্যোগ? প্রশ্নের জবাবে বিধায়ক পরেশরাম দাস জানিয়েছেন, ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভার অন্যতম প্রাণকেন্দ্রে সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার ক্যানিং শহর।
ক্যানিং পশ্চিমের মানুষজন দুহাত দিয়ে আশীর্বাদ করে আমাকে বিধায়ক পদে বসিয়েছেন। ক্যানিং থেকে নিত্যদিন যে সমস্ত মানুষজন বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করেন, তাঁদের যাতে অসুবিধা না হয়, বিধায়ক হিসাবে সেটা আমার উপর দায়িত্ব বর্তায়। ফলে প্রচন্ড গরমে মানুষ জল তেষ্টায় ভুগবেন সেটা যাতে না হয় তারজন্য ‘জলসত্র’ খোলা হয়েছে।
আগামী যতদিন গরম আবহাওয়া থাকবে জলসত্র ততদিনই চলবে।’ অন্যদিকে সাধারণ পথচারী থেকে নিত্যযাত্রীরা বিধায়কের এমন মানবিক উদ্যোগ কে প্রশংসা করেছেন।