সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ : “বিভিন্ন অত্যাচারের কারণে ঘর বাড়ি ছেড়ে জায়গা জমি ফেলে পূর্ববঙ্গ থেকে পালিয়ে এসেছি ভারতবর্ষে। আমার মত কয়েক হাজার মতুয়া সম্প্রদায় মানুষ এখন কাকদ্বীপে বসবাস করেন। এখন আর আমাদের আগের মতো অত্যাচারের সম্মুখীন হতে হয় না।
কিন্তু শান্তি কই! সারাক্ষণই আতঙ্কের মধ্যে থেকে দিন কাটছে। ভোটের জন্য সব রাজনৈতিক দল আমাদের নিয়ে রাজনীতি করছে। আমরা মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ প্রত্যেকেই নিঃশর্ত নাগরিকত্ব চাই।” ঘরের দরজার সামনে বসে চাপা কন্ঠে এমনটাই বললেন, কাকদ্বীপ ব্লকের মতুয়া মহাসংঘের সভাপতি সহদেব দাস।
তিনি বলেন, “১৯৮৪ সালে পূর্ব বাংলা ছেড়ে ভারতবর্ষে এসেছি। তখন থেকেই আমাদের নির্বাচনের ঘুঁটি করা হয়েছে। কিন্তু যথাযথ সম্মান দেওয়া হয়নি। অথচ আমাদের পূর্বপুরুষেরা অবিভক্ত বঙ্গদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আর আজ আমরাই স্বাধীন নই।
ভারত বর্ষ জুড়ে আমাদের চারটে নামে ডাকা হয়। কেউ বলেন শরণার্থী, কেউবা বলেন রিফিউজি, কেউবা বলেন অনুপ্রবেশকারী, আবার কেউবা বলেন উদ্বাস্তু। আমরা নিজেরাই জানিনা এই দেশে আমাদের আসল পরিচয় কি।”
তিনি আরও বলেন,
“নির্বাচনের আগে আমাদের মতুয়া সম্প্রদায়ের একটাই দাবি রয়েছে, আমরা নিঃশর্ত নাগরিকত্ব চাই। পূর্ববঙ্গ থেকে যাঁরা এসেছেন, তাঁরা যেন এই দেশে সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারেন।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাকদ্বীপ ব্লকে প্রায় ২৫ হাজার মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন।
সিএএ ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরেও, তাঁরা দ্বিধাগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছেন। কি করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন ও আতঙ্ক তাঁদের চারিদিকে ঘিরে রয়েছে।