কয়েকদিন আগে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যা নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছিল বঙ্গ রাজনীতির আনাচে-কানাচে। ফোন করেছিলেন কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী রানি মা অমৃতা রায়কে। এবার ফোন করলেন মালদহের হবিবপুরের বৈদ্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য লতিকা হালদারকে।
তাঁর বুথে নির্বাচনী অভিযান কেমন চলছে সে বিষয়েও খোঁজ-খবর নেন মোদী। একইসঙ্গে বুথের সমস্ত কার্যকর্তাদের দায়িত্ব ঠিক করা হয়েছে কিনা তাও জানতে চান। উত্তরে লতিকা বলেন, আমার ওয়ার্ডে কাজ ভাল চলছে। সবাইকে দায়িত্ব পালনের জন্য বুঝিয়ে দিয়েছি। সবাইকে কাজ বুঝিয়ে দিয়েছি। এরপরই মোদীর মুখে শোনা যায় বাংলায় নির্বাচনী হিংসার কথা।
ফোনে মোদী স্পষ্ট বলেন, দেখুন পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী হিংসা বড় খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করে রেখে দিয়েছে। প্রচার করতে গিয়ে এমন কোনও ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে না তো? উত্তরে লতিকা বলেন, আমি মহিলাদের একত্রিত করে একজোট হয়ে প্রচার করছি। মোদী বলেন, আপনি তাহলে সব জায়গায় গিয়ে আপনাদের কথা বলতে পারছেন? উত্তরে লতিকা বলেন হ্যাঁ পারছি।
কোনও সমস্যা হচ্ছে না। এরপরই কেন্দ্রীয় সরকারের বিনামূল্যে রেশনের ব্যাপারেও খোঁজ নেন মোদী। ফোনেই জানতে চান, ভারত সরকার যে বিভিন্ন সময় ফ্রি-তে রেশন দিচ্ছে এটা কী সকলে বুঝতে পারছে? এ ক্ষেত্রেও সদর্থক উত্তরও দেন লতিকা। এরপর ফের আরও একবার নির্বাচনী হিংসার কথা বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মোদী।
এই আবহেও ঠিকভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। সমস্ত কর্মীদের ধন্যবাদও জানান। ফোনালাপের একদম শেষে এসে লতিকাকে মোদী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ নির্বাচনী হিংসা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন হিংসা রুখতে সমস্ত ব্যবস্থা করেছে।
আপনারা বিভিন্ন প্রকল্পের কথা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিন। বুথের সমস্ত মানুষের কাছে যান। বিজেপির নীতির কথা বলুন। ভোটারদের সমস্ত তথ্য নিজের কাছে রাখুন।”