রবীন্দ্রনাথ সামন্ত, কাকদ্বীপ : বাঘের আতঙ্ক থেকে বাঁচতে অবশেষে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করল পাথরপ্রতিমার শ্রীধরনগর গ্রাম পঞ্চায়েত। এই এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘ প্রায় ৪ মাস ধরে তাঁরা বাঘের আতঙ্কে রয়েছেন। গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসে জানিয়েও কোন সুরাহা হচ্ছে না।
এদিকে গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোবিন্দ মিদ্যা বলেন, এই এলাকার বাসিন্দারা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপর আস্থা হারাচ্ছেন। গ্রামবাসীরা তাঁদের সমস্যার কথা গ্রাম পঞ্চায়েতকে জানাচ্ছেন, গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সেই সমস্যার কথা বনদপ্তরকে জানানো হচ্ছে। কিন্তু কোন স্থায়ী সুরাহা মিলছে না।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার সকালেও উপেন্দ্রনগরের বাসিন্দা বাদল সামন্ত ও হরিপদ জানা ঠাকুরান নদীর চরে বাঘের পায়ের ছাপ দেখেছেন। এমনকি নদী বাঁধে টাটকা রক্তের দাগও দেখা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রাথমিক অনুমান, এদিন সকাল বেলায় বাঘটি বন্য শুকর মেরে খেয়েছে। বিষয়টি বনদপ্তরেও জানানো হয়েছে।
তবে কোন স্থায়ী সমাধান না হওয়ায়, এবার পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে রামগঙ্গা রেঞ্জার, পাথরপ্রতিমার বিডিও, কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক ও বনদপ্তরের জেলা মুখ্য আধিকারিককে পঞ্চায়েতের প্যাডে লিখে মেইলের মাধ্যমে আবেদন জানানো হয়েছে।
আবেদনে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, ধনচির সংরক্ষিত জঙ্গল থেকে ঠাকুরান নদী পেরিয়ে প্রায় সময় বাঘ লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। দীর্ঘ প্রায় ৪ মাস ধরে এই এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। যাঁরা নদীতে মাছ ও কাঁকড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন, তাঁদের রোজগার সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।
পাথরপ্রতিমার বিডিও মহম্মদ ইজরাইল বলেন, সত্যিই ভয়ের কারণ রয়েছে। বনদপ্তরের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব, যাতে স্থায়ীভাবে সমাধান করা যায়।