গঙ্গাসাগর মেলায় আগত পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে একগুচ্ছ ব্যবস্থা করল রাজ্যের পরিবহণ দফতর। দূর-দূরান্ত থেকে যে সকল পুণ্যার্থী গঙ্গাসাগর মেলায় আসতে চান যাতায়াতের সময় যাতে তাঁদের খুব একটা সমস্যার মধ্যে পড়তে না হয় তার জন্য করা হচ্ছে ব্যবস্থা। রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন,
হাওড়া, শিয়ালদহ বা কলকাতার পয়েন্টে পৌঁছানোর পর সেখান থেকে যাতে গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গনে সহজেই পৌঁছাতে পারেন তার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় ২৫০০ অতিরিক্ত বাস দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর জন্য হাওড়া স্টেশন, বাবুঘাট, ধর্মতলায় বিশেষ কাউন্টারের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
এই সব কাউন্টার থেকে সরাসরি কলকাতা থেকে গঙ্গাসাগরে পৌঁছানোর টিকিট পাওয়ার পাশাপাশি সবরকমের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।সূত্রের খবর, আজ থেকে রাজ্য পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে পরিষেবা চালু করে দেওয়া হবে। ১৭ তারিখ পর্যন্ত এই সুবিধা পাবেন আগত পুণ্যার্থীরা। একইসঙ্গে নামখানা পয়েন্ট থেকে ৩২টি সরকারি ভেসেল দেওয়া হচ্ছে।
অনুরূপভাবে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে ৭০টি প্রাইভেট ভেসেল থাকছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ছ’টি পরিষেবা রাখা হচ্ছে। আউট্রাম ঘাট ও কালীঘাট থেকে দশটি পর্যটক বাসের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। রাজ্য সরকার ও ট্যাক্সি সংস্থার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আউট ট্রাম ঘাটে একটি প্রিপেইড ট্যাক্সি বুথ করা হচ্ছে। এখান থেকে ট্যাক্সি পরিষেবা পাওয়া যাবে।
হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য করা হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থা। অবস্থা গুরুতর হলে চিকিৎসার সঙ্গে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। যেখানে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে সরাসরি কলকাতার প্রথম শ্রেণির হাসপাতালে নিয়ে আসা সম্ভব হবে।অন্যদিকে ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত দু’টি পর্যটক বাস এর বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে।
হাওড়া স্টেশন থেকে লট এইট হয়ে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত যাওয়ার জন্য ১৪৫ টাকা ভাড়া ধার্য করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি বাবুঘাট থেকে লট এইট হয়ে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত যাওয়ার ক্ষেত্রে ১৪০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। ১১ তারিখ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত চলা গঙ্গাসাগর উপলক্ষে পুরো বিষয়টি মনিটরিং করা হবে বলে খবর।
কোনও পুণ্যার্থী যাতে অসুবিধার সম্মুখীন না হন, তার জন্য রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী থেকে শুরু করে পরিবহণ বিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিকগণ গঙ্গাসাগর মেলায় উপস্থিত থাকবেন। পাশাপাশি মেলা প্রাঙ্গণে গড়ে ওঠা উচ্চ পর্যায়ের কন্ট্রোলরুমে ২৪জন অতিরক্ত উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিককে নিয়োগ করা হচ্ছে দেখভালের জন্য।