অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা: তিনি ভোটে দাঁড়াবেন না, কিন্তু মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে এবারও দু লাখের বেশি মার্জিনে জিতবে তৃণমূল, বলছেন সাংসদ চৌধুরী মোহন জাটুয়া পর পর তিনবার মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে বড় মার্জিনে জিতেছেন তৃণমূল সাংসদ চৌধুরী মোহন জাটুয়া।
এই রেকর্ড এখনও এ জেলাতে তাঁর দলের কেউ ভাঙতে পারেনি। শেষবার তাঁর জয়ের মার্জিন ছিল ২ লাখ ৮ হাজার। বিরোধী দল বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএম অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে হারানো দূর ধারেকাছে পৌঁছতে পারেনি। অনেকের জামানত জব্দ হয়েছে। তবে এবার তিনি আর দাঁড়াবেন না। কারণ হল বয়স।
তবে তিনি না দাঁড়ালেও তৃণমূল যাঁকে ই প্রার্থী করুক, মথুরাপুর থেকে তাঁর মতোই দু লাখের বেশি ব্যবধানে জিতবেন বলে মনে করেন সাংসদ সিএম জাটুয়া। আসলে সাংসদ চৌধুরী মোহন জাটুয়ার বয়স এখন ৮৬। শারিরীকভাবে আগের মতো সেই বল নেই। তাই নিজের মথুরাপুর কেন্দ্রে আগে যেভাবে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন।
এখন সেইভাবে পারছেন না। এর ভিতর করোনা তে আক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর তাঁকে আরও কাহিল করে দিয়েছে। এতদসত্বেও তিনি কিন্তু এর ভিতর দিল্লি ও কলকাতা যাতায়াত করেছেন। শেষদিকে র লোকসভা অধিবেশনে থাকতে না পারলেও তার আগের সব কটিতে হাজির ছিলেন।
এখনও প্রতি বুধবার আলিপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা পরিষদে তাঁর জন্য নির্দিষ্ট সাংসদের ঘরে বসেন। নিজের কেন্দ্রের লোকজনের সঙ্গে দেখা করেন। কোনও সমস্যা হলে তা শুনে সমাধানের উপায় বাতলে দেন। আসলে এখন জেলা জুড়ে তৃণমূল দলের শীর্ষ নেতাদের অনেকে কেষ্টবিষ্টু হয়েছেন।
কিন্তু ২০০৮ সালে যখন প্রথম তৃণমূল বামদলকে হারিয়ে অপ্রত্যাশিত ভাবে দক্ষিণ ২৪ জেলা পরিষদ দখল করল। সেই সময় এই জেলার সংগঠন ও জেলা পরিষদের প্রশাসনিক দিক সবটাই নিয়ন্ত্রণ করেছেন সি এম জাটুয়া। মুখ্যমন্ত্রীর খুবই কাছের মানুষ ছিলেন তিনি। তাই তাঁকেও ভরসা করে এই দায়িত্ব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বলা যায় তিনি দক্ষতার সঙ্গে সংগঠন চালাতে এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ছুটেছেন। তেমনি জেলা পরিষদের কাজকর্ম সামলানোর জন্য তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের সঙ্গে রীতিমত লড়াই করেছেন। কারণ সেই সময় অনেক অসহযোগিতাও পেয়েছেন আমলা মহলের কাছ থেকে। তাতে দমে যাননি।
জেলা পরিষদের নতুন কর্মাধক্ষ্যদের ডেকে কি ভাবে কাজ করতে হবে তা হাতে কলমে শিখিয়েছেন। এমন একজন হলেন সাংসদ চৌধুরী মোহন জাটুয়া। কি হবে এবার? সাংসদের কথায়, ভালো ফল হবে। এই জেলার মথুরাপুর সহ ৪ টি কেন্দ্র থেকে তৃণমূল জিতে আসবে। এ ব্যাপারে কোনও সংশয় নেই।
কে প্রার্থী হতে পারে আপনার জায়গাতে? এর উত্তরে সাংসদ বলেন, এটা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত। এ সম্পর্কে আমার বলার কোনও জায়গা নেই। কখনও কোনও দিন এ বিষয়ে নাক গলায়নি। ভোটের বিষয়ে আপনার কেন্দ্র সম্পর্কে দলকে কোনও বার্তা দিতে চান?
সি এম জাটুয়ার কথায়, দলনেত্রী র উপর আমাদের ভরসা আছে। উনি যা বলবেন সেটাই আমার বার্তা। তবে কখনও দল থেকে এ নিয়ে পরামর্শ চাইলে নিশ্চয়ই আমার এতদিনকার সাংসদ জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারি।