স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যে দুর্নীতিতে সরকার জড়িত বলে মনে করি না। তবে কোনও রাজনৈতিক দল যুক্ত থাকতে পারে। আর তেমনটা হলে সরকারের উচিত তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসাবে তাঁর বর্ষপূর্তিতে সংবাদমাধ্যমকে এই প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
গত বছর ২৩ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন দুঁদে কেন্দ্রীয় আমলা সিভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার তার বর্ষপূর্তি হতে চলেছে। তার আগে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দুর্নীতির কথা স্বীকার করলেও নিজেকে রাজনৈতিক বিতর্ক থেকে দূরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করলেন রাজ্যপাল।
এদিন আনন্দ বোস বলেন, ‘এই এক বছরে আমার মনে হয়েছে সন্ত্রাস ও দুর্নীতি পশ্চিমবঙ্গের জন্য বড় ইস্যু। সমাজ বা প্রশাসন দুর্নীতি করছে এমনটা বলছি না। কিন্তু দুর্নীতির অস্তিত্ব রয়েছে। তবে তার সঙ্গে সরকার যুক্ত বলে আমার মনে হয় না। কোনও রাজনৈতিক দল যুক্ত থাকতে পারে। তেমনটা হলে সরকারের উচিত তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা।’
হিংসা রুখতে রাজ্য সরকারের সব রকম পদক্ষেপ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন রাজ্যপাল।রাজ্যপাল বলেন, ‘আমি বলছি না গত একবছরে রাজ্যে যা যা ঘটনা ঘটেছে তার পিছনে প্রশাসন বা রাজ্য সরকার সরাসরি জড়িত আছে। আমার লক্ষ্য হিংসা ও দুর্নীতি বন্ধ করা। তাই আবারও রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন, ঘুষ নেবেন না, ঘুষ দেবেন না।
আর রাজভবনের সঙ্গে রাজ্য সরকারের যে ধরনের সংঘাতের কথা বলা হয়, তেমন সংঘাত আদতে নেই। মুখ্যমন্ত্রী–রাজ্যপালের মধ্যে সম্পর্কের কয়েকটি স্তর থাকে। মানুষের চাহিদা মেটাবেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপাল সেই বিষয়টা সাংবিধানিকভাবে দেখবেন। উভয়কেই আইন মেনে চলতে হবে। তবে পরস্পরের প্রতি সম্মান থাকলে কাজ ভাল হয়।’
রাজ্য – রাজভবন সংঘাতের বিষয়টি অস্বীকার করে রাজ্যপাল বলেন, ‘সংবাদমাধ্যম জিনিসটাকে যেমনভাবে দেখায় বিষয়টা তেমন নয়। আমার সঙ্গে সরকারের তেমন কোনও বিবাদ নেই। আমরা প্রত্যেকে আইন মেনে চলতে বাধ্য। তবে পরস্পরের প্রতি সম্মান থাকলে কাজটা করতে সুবিধা হয়। আমরা দুজনেই জনগণের কাছে দায়বদ্ধ।’
বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে বোস বলেন, ‘রাজ্যের যে কোনও ভালো, উন্নয়নমূলক কাজে আমি পাশে রয়েছি। মানসিকভাবে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আছি।’ সূত্রের খবর, এবারের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি রাজ্যপালকে। আর সেই কারণেই রাজ্যপালের এই কৌশলী মন্তব্য বলে মনে করা হচ্ছে।