স্টাফ রিপোর্টার: কলকাতা থেকে ওড়িশাগামী বাসে আগুন লেগে মৃত্যু হল এক যাত্রীর। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।জানা গিয়েছে, খড়্গপুরে জাতীয় সড়কের উপর শুক্রবার রাতে নাগাদ ওড়িশাগামী একটি যাত্রিবাহী বাসে আচমকা আগুন ধরে যায়। বাস থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যান চালক এবং কন্ডাক্টর। প্রাণ বাঁচাতে যাত্রীদের কেউ কেউ দরজা দিয়ে লাফ দেন।
কেউ কেউ আবার কাচের জানলা ভেঙে ঝাঁপ দেন রাস্তায়।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের পৌঁছয় দমকলের একটি ইঞ্জিন। আগুন নেভাতে এগিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে ওইদিন অল্পবিস্তর আঘাত পাওয়া ছাড়া প্রাণহানির কোনও খবর পাওয়া যায়নি।যদিও শনিবার জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
যদিও এখনও পর্যন্ত তাঁর পরিচয় জানা যায়নি।দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শুক্রবার রাতেই খড়্গপুর লোকাল থানায় যান মন্ত্রী মানস ভুইঞা। তিনি বলেন, “এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। কলকাতা থেকে ওড়িশাগামী একটি বাসে আগুন ধরে যায়। অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক যাত্রী। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
অন্য যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।আগুন কী ভাবে লাগল তার তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সবার পাশে রয়েছেন স্থানীয় নেতৃত্ব।’’এ নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, ‘‘বাসে থাকা ৩৬ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। থানায় নিয়ে গিয়ে তাদের কাছ থেকে খোঁজখবর নেওয়া হয়। পাশাপাশি এক জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বোঝা যাবে মৃত্যুর কারণ।’’ পুলিশ সুপারের সংযোজন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, শর্টসার্কিট থেকেই বাসে আগুন লেগেছে। ফরেন্সিক দলের রিপোর্ট এলে বিষয়টি স্পষ্ট বোঝা যাবে।’’
অন্য দিকে, এ নিয়ে জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি বলেন, ‘‘বাস দুর্ঘটনায় ৩৬ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু এক জনের মৃত্যু হয়েছে। দমকল, পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকেরা উদ্ধারকাজ চালিয়ে গিয়েছেন। উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের ওড়িশা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’