রফিকুল ঢালি, কুলতলি: পরিযায়ী উপাচার্যদের অনুপ্রবেশ যেন রাজ্যের সিস্টেম খারাপ করতে না পারে। এতগুলি বিএড কলেজের অনুমোদন কেন বাতিল করা হয়েছে, তা শিক্ষাদপ্তর তদন্ত করে দেখবে বলে কুলতলিতে জানালেন রাজ্যির শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।কুলতুলির জামতলায় বিজেপির পালটা সভা করে তৃণমূল কংগ্রেস।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সভার তিনদিনের মাথায় এই সভা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, শওকত মোল্লা ও কুলতুলির বিধায়ক গণেশ মণ্ডল। কুলতলিতে এসে বিধায়ক গণেশ মণ্ডলকে দুর্নীতির অভিযোগে জেলে পোরার হুমকি দিয়েছেন সুকান্ত।
তারই পালটা সভায় বিজেপিকে তুলোধনা করেন শওকত মোল্লা ও গণেশ মণ্ডল। শওকত মোল্লা জানান, এই জেলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করে টিকতেই পারবে না বিজেপি। যাদবপুর, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার সহ জেলার সবক’টি আসনেই তৃণমূল জিতবে বলে তিনি দাবি করেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যিনিই দাঁড়ান, তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
সুকান্ত কুলতলিতে কুৎসা করতে এসেছিলেন বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশ ও ত্রিপুরায় বিজেপির গুন্ডাবাহিনী তৃণমূলের উপর হামলা চালায়। আমরা চাইলে কুলতলিতে বিজেপিকে ঢুকতে দিতাম না। কিন্তু এ রাজ্যে মমতা বন্দোপাধ্যায় বিরোধীদের সম্মান দেয়।
বাংলায় জিততে না পারার কারণেই কেন্দ্র আবাস যোজনা ও একশো দিনের কাজ বন্ধ রেখেছে বলে জানান ব্রাত্য। তিনি বলেন, সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে অন্যায়ভাবে সাসপেন্ড করার সুপারিশ করেছে এথিক্স কমিটি। আম্বানি, আদানির বিরুদ্ধে মুখ খোলাতেই এই প্রতিহিংসা।
যে চারটি রাজ্যে নির্বাচন হচ্ছে, সব জায়গাতেই বিজেপি হারবে। নওশাদ আর কোনও দিন বিধায়ক হিসেবে জিতবেন না। পিপীলিকার পাখা উড়ে মরিবার তরে বলেই নওশাদ ডায়মন্ড হারবারি দাঁড়াতে চাইছেন। ওঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
