রফিকুল ঢালি, জয়নগর: এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল জয়নগরে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনই তাদের মেয়েকে মেরে দিয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতার স্বামীকে আটক করেছে জয়নগর থানার পুলিশ।
প্রায় দেড় বছর আগে জয়নগর থানার তালতলা এলাকার বাসিন্দা ওয়াসিম গাজির মেয়ে রেশমা গাজিকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করে জয়নগর থানার গোলাবাটি এলাকার যুবক রবিউল লস্কর। মেয়ে নাবালিকা থাকায় রেশমা গাজির বাড়ির লোকজন রবিউল লস্করের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথাবার্তা বলে মেয়েকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।
এরপর দেড় বছর পর মেয়ের বিয়ের বয়স হওয়ার পর দুই বাড়ির মধ্যস্থতায় দু’জনের সামাজিক বিয়ে হয়। বুধবারই প্রথম রেশমা তাঁর শ্বশুরবাড়ি যান বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালেই রবিউল লস্করের বাড়ি থেকে রেশমার বাড়িতে ফোন করে বলা হয়, রেশমা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
এরপর রেশমার পরিবারের লোকজন রবিউলের বাড়িতে পৌঁছে মেয়ের অচৈতন্য দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। জানতে পারেন, অনেক আগেই তাঁদের মেয়ে রেশমা লস্কর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। রেশমার বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, পরিকল্পনা করে তাঁদের মেয়েকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিলে শ্বাসরোধ করে প্রাণে মেরে দিয়েছে। তাঁরা জয়নগর থানায় লিখিত অভিযোগও করেন।
মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে জয়নগর থানার আইসি রাকেশ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এসআই সায়ন ভট্টাচার্য ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান। পাশাপাশি অভিযুক্ত রবিউল লস্করকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
মৃতার মা জরিনা গাজি জানান, বেশ কিছুদিন যাবৎ তাঁর জামাই সোনার গহনার দাবি করেছিল। সেটা না দিতে পারায় আমার মেয়েকে এভাবেই প্রাণে মেরে দিল। তিনি জামাইয়ের কঠোর শাস্তির দাবি করেন।
জয়নগর থানার পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী রবিউল লস্করকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ঠিক কী কারণে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হল, সেব্যাপারে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।