স্টাফ রিপোর্টা: রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। দিন কাটছে ইডি হেফাজতে। কিন্তু, তাঁর জায়গায় বর্তমানে দফতরের দায়িত্ব কে সামলাবেন তা নিয়ে জল্পনা চলছিলই। সকলেরই নজর ছিল বুধবারের ক্যাবিনেট বৈঠকের দিকে। নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয় কিনা তা নিয়ে চলছিল চর্চা। যদিও বৈঠক শেষে সেরকম কিছু হল না।
সূত্রের খবর, জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারির পর থেকে দফতরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। বর্তমানে তাঁর উপরেই দায়িত্ব থাকছে বলে বন দফতর সূত্রে খবর। কোনও অন্য মন্ত্রীকে দেওয়া হচ্ছে না বর্ধিত দায়িত্ব।সূত্রের খবর, এদিন মোট ২৫ মিনিটের বৈঠক হয়।
এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে বালুর মন্ত্রক বণ্টন নিয়ে কোনওরকম আলোচনা না হওয়ায়, ধরে নেওয়া হচ্ছে আপাতত বীরবাহাই ওই দায়িত্ব সামলাবেন। তবে মন্ত্রী পদে জ্যোতিপ্রিয়ই থাকবেন।এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁকে মন্ত্রীপদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে তাঁর মন্ত্রক ভাগ করে দেওয়া হয়। বালুর ক্ষেত্রে ঠিক তাঁর উলটোটাই হল। মুখ্যমন্ত্রী এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকেই বনমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, “বালুকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
জ্যোতিপ্রিয়কে মন্ত্রীপদ থেকে যেমন সরানো হয়নি, তেমনি উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাপতির পদ থেকেও সরানো হয়নি। তবে সামনেই যেহেতু লোকসভা ভোট, তাই তৃণমূলের সাংগঠনিক কাজকর্মে যাতে অসুবিধা না হয়, সেদিকেও নজর দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে যে সাংগঠনিক দায়িত্ব জ্যোতিপ্রিয় সামলাতেন, সেই দায়িত্বগুলি উত্তর ২৪ পরগনারই অন্য মন্ত্রীদের দেওয়া হয়েছে।
অর্থাৎ সুজিত বোস, পার্থ ভৌমিকরা বাড়তি সাংগঠনিক দায়িত্ব পেতে চলেছেন।এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে দীপাবলি চলাকালীন আইনশৃঙ্খলার দিকে নজর রাখার জন্যও মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি মন্ত্রীদের উদ্দেশে বলেন, পুলিশ প্রশাসন নিজেদের মতো কাজ করবে, সেই সঙ্গে আপনাদেরও এলাকায় নজরদারি চালাতে হবে।
আসলে লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হিংসা ছড়ানো হতে পারে বলে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মমতা। সেকারণেই কালীপূজোর সময় মন্ত্রীদের বাড়তি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেন তিনি।