স্টাফ রিপোর্টা: তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাদের লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু দুর্নীতিতে অভিযুক্ত দলীয় নেতাদের নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করছে না মোদী সরকার। সোমবার এমনই অভিযোগ করলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং পার্থ ভৌমিক।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শশী পাঁজা অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করে চলেছে। কিন্তু তার কোনও ফল সামনে আসছে না। পেট্রোলিয়াম প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলির সম্পত্তি নিয়ে কেন তদন্ত হচ্ছে না? জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সৌমিত্র খাঁ, জগদম্বিকা পাল, হিমন্ত বিশ্বশর্মাদের সম্পত্তি নিয়ে তদন্ত কেন হয় না?
কাঁথির অধিকারী পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে কেন তদন্ত হচ্ছে না? ‘ তাঁর কথায়, ‘এঁদের কত অর্থ লাভ হয়েছে, দেখা দরকার। কিন্তু সিবিআই, ইডি— কেউ পৌঁছোয় না।’ শশী বলেন, ‘সিবিআই এবং ইডি, কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা। তাদের ব্যবহার যেমন করা যায়, তেমনই অপব্যবহারও করা যায়। অপব্যবহার করা হচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের ক্ষেত্রে। আর ব্যবহারই করা হচ্ছে না যখন, বিজেপির মধ্যে দুর্নীতি লক্ষ্য করা যায়।’
শশীর অভিযোগের জবাবে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র বলেন, ‘অভিযোগের প্রমাণ দিতে পারলে শশী পাঁজাকে আমি পুরস্কৃত করব।’ এদিন পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘অজিত পওয়ার থেকে শুরু করে অসমের মুখ্যমন্ত্রী (হিমন্ত বিশ্বশর্মা) কিংবা পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা (শুভেন্দু),
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে দুর্নীতিপরায়ণ মনোবৃত্তির কারণে তাঁদের সমালোচনা করা হলেও, যেই মুহূর্তে তাঁরা বিজেপিতে যোগদান করেন, বিজেপির ওয়াশিং মেশিনের দৌলতে তাঁদের সমস্ত দুর্নীতি ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যায়।’
তাঁর কটাক্ষ, ‘কেউ বিজেপিতে যোগ দিলে সে যত দুর্নীতিই করুক না কেন, কেউ তার কেশাগ্র পর্যন্ত ছুঁতে পারবে না। আর তারা (বিজেপি) বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে দুর্নীতির অভিযোগ দিয়ে হেনস্থা করছে।’