বান্টী মুখার্জি, বাসন্তী: বড়সড় সাফল্য পেল স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) ও বারুইপুর জেলা পুলিশ। অস্ত্র কারখানার হদিশ পেল তারা।উদ্ধার হয়েছে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। পুলিশের জালে ধরা পড়েছে বাবা, ছেলে সহ অভিযুক্ত তিন দুষ্কৃতী। এলাকায় ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার অন্তর্গত আমঝাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢুঁড়ি ৮ নম্বর তিতকুমার ভারতীর মোড় এলাকার বাড়িতে ডেকরেটার্সের ব্যবসার পাশাপাশি বেআইনি অস্ত্র কারখানা চালাচ্ছিল ইশতেহার গায়েন, হাসানুর গায়েন ও রিয়াজুল খানরা।
সেখান থেকে বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্র সরবরাহ করা হত এবং অস্ত্র তৈরির জন্য বরাত নেওয়া হত বলে অভিযোগ। এই খবর গোপন সূত্রে পৌঁছে যায় বারুইপুর জেলা পুলিশের বাসন্তী থানার পুলিশ ও স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের কাছে। রবিবার রাত দেড়টা নাগাদ বাসন্তী থানার পুলিশ ও টাস্ক ফোর্সের বিশাল পুলিশ বাহিনী বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিশ পেতে যৌথভাবে তল্লাশি অভিযান শুরু করে বাসন্তী থানার অন্তর্গত ঢুঁড়ির ৮ তিতকুমার ভারতীর মোড় এলাকায়।
সেখানে ইশতেহার গায়েনের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে তিনটি ছোট বন্দুক, একটি বড় বন্দুক এবং আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির বেশকিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ। তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।ধৃতদের সোমবার আদালতে তোলা হয়েছে।ইশতেহার গায়েন ও হাসানুর গায়েন সম্পর্কে বাবা ও ছেলে।ধৃত হাসানুর গায়েনের স্ত্রী আর্জিনা গায়েন জানিয়েছেন, শ্বশুর ইশতেহার গায়েন বাড়িতেই সাইকেল সারানোর কাজ করত।
আমার স্বামী ডেকরেটার্সের ব্যবসা করত। শ্বশুর সাইকেল সারাইয়ের পাশাপাশি অস্ত্র কারখানা চালাত এবং বন্দুক তৈরি করত। কোথায় কোথায় অস্ত্র বিক্রি করত এবং কাদের কাছে যেত, সে সম্পর্কে আমরা জানতাম না। অনেকবার শ্বশুরকে এমন কাজ করতে নিষেধ করেছিলাম। বলেছিলাম, বয়স হয়েছে, ওই সমস্ত কাজ করতে হবে না।শোনেননি।
রবিবার গভীর রাতে পুলিশ আমার স্বামী, শ্বশুর ও এক প্রতিবেশীকে ধরে নিয়ে যায়।আমার স্বামী নির্দোষ।অন্যদিকে, বাসন্তী থানার পুলিশ ধৃতদের আদালতে তুলে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি ধৃতরা কাদের কাছে এবং কোথায় আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করত? আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না, সে সম্পর্কে তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ।