বিশ্ব সমাচার, বাসন্তী: অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছরে সাপের উপদ্রব অত্যধিক হারে বেড়েছে। অন্ধকারের মধ্যে যাতায়াত করতে অসুবিধায় পড়তেন গ্রামের মানুষ। এই অবস্থায় গ্রামবাসীরা মিলিতভাবে নবনির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যকে জানিয়েছিলেন। কী করবেন ভেবে উঠতে পারছিলেন না পঞ্চায়েত সদস্য বাপ্পাদিত্য হাউলি।
অবশেষে একক উদ্যোগে এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন পঞ্চায়েত সদস্য।দীপাবলির আগেই গোটা গ্রামকে আলোকিত করে তুললেন। প্রায় দু’কিমি রাস্তার পাশে ৬০টি বিদ্যুতের খুঁটিতে লাগানো হল বাল্ব। দীপাবলিতে আলোর রোশনাইয়ে ঝলমল করে উঠবে গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র, পুজোমণ্ডপ এবং প্যান্ডেলগুলো।
দীপাবলির আগেই আলোয় ঝলমল করে উঠল সুন্দরবনের একটি গ্রাম। এই দৃশ্য দেখা গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার অন্তর্গত চুনাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়িয়া মুক্তরাম সরদারপাড়া এলাকায়। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বাপ্পাদিত্য হাউলির উদ্যোগে প্রায় দু’ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রাস্তার দু’ধারে ৬০ টি বিদ্যুতের খুঁটিতে লাগানো হল বৈদ্যুতিক বাল্ব।
প্রতিদিন সন্ধ্যার পর জ্বলবে আলো। সুবিধা হবে যাতায়াতে। এই উদ্যোগে খুশি এলাকার আবালবৃদ্ধাবনিতা সকলেই।
চুনাখালি পঞ্চায়েত সদস্য বাপ্পাদিত্য হাউলি বলেন, এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত উদ্যোগ। গ্রামবাসীদের দাবি ছিল। গ্রামবাসীদের দাবি পূরণ করার চেষ্টা করেছি মাত্র। একদিকে দীপাবলিতে যেমন আলোকিত হবে গোটা গ্রাম, তেমন রাতের অন্ধকারে সাপের উপদ্রব থেকে নিস্তার মিলবে।
স্থানীয় বাসিন্দা বিমল সরদার বলেন, বর্ষার শুরু থেকেই বিষধর সাপের উপদ্রব দেখা দিয়েছিল। অন্ধকারে পথ চলতে ভয় পেতাম সকলেই।সমস্যার সমাধানের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বাপ্পাদিত্যকে জানিয়েছিলাম। সোমবার তিনি আমাদের স্বপ্ন পূরণ করলেন। আমরা সবাই খুশি।
অন্যদিকে, পঞ্চায়েত সদস্যের অভাবনীয় এমন মানবিক উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা শিক্ষারত্ন পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক নিমাই মালি, চুনাখালি পঞ্চায়েতের প্রধান দীপালি বৈরাগী সরদার, উপপ্রধান নরেশচন্দ্র নস্কর সহ এলাকার বাসিন্দারা।