স্টাফ রিপোর্টা: আমি এক পয়সাও নিই না, তাও আমি চোর? নিজের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরে দলীয় বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে এই প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সোমবার সন্ধ্যায় বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মাসে দেড় লক্ষ টাকা মাইনে পেতে পারি।
সব কিছু পেতে পারি। সাত বারের সাংসদ আমি। প্রতি মাসে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা করে পেনশন পেতে পারি। কিন্তু আমি কোনও পয়সা নিই না। আমার তো এতদিনে ৪০ – ৫০ কোটি টাকা জমানো হয়ে যাওয়ার কথা। নিই না তো এক পয়সাও। একবারও কেউ স্বীকার করেছেন? কই করেননি তো? তবু আমরা চোর?’
মমতার দাবি, ‘উই আর ফেসিং দ্য লিগাসি। ৩৪ বছর চাষিদের থেকে চাল কেনা হত না। এটা পরিষ্কার করতে গিয়ে আমার ১০ বছর লেগেছে। ১ কোটি রেশন কার্ড আমরা বাদ দিয়েছি। ওই ১ কোটি রেশন কার্ডে বাম জমানায় চাল তোলা হত। ওই রেশন কার্ড ব্যবহার করে ভুয়ো ভোট দেওয়া হত। এই ১ কোটি ভুয়ো রেশন কার্ড বাদ দিতে আমার ৭ – ৮ বছর সময় লেগেছে।
আমরা রেশন কার্ড সব ডিজিটাইড করে দিয়েছি।’ মমতা বলেন, ‘আমি চাই না আমার দেশকে নিয়ে অন্য লোক সমালোচনা করুক। আমি আমার জন্মভূমিকে ভালোবাসি। তাই আজও চুপচাপ আছি।’ ১০০ দিনের বকেয়া নিয়ে এদিন ফের মোদি সরকারকে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একশো দিনের কাজে ৭ হাজার কোটি টাকা পায় রাজ্য।
কাজ করেও দিনমজুররা অর্থ পাননি। আবাস যোজনার বকেয়া দেয় না কেন্দ্র। উলটে জিএসটির নাম করে সব ট্যাক্স তুলে নিয়ে যায়।আমি জীবনে কারও দয়া চাই না। তাই নিজের নামে স্টেডিয়াম বানাই না। আমার পাবলিসিটির প্রয়োজন নেই। আমি নিজের নামে ট্রেন লাইনও করি না, প্রয়োজন নেই।
এদিন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম না করলেও স্পষ্ট বোঝালেন, বালুর পাশে এখনো রয়েছেন তিনি।মমতা বলেন, ‘একটা বিচ্ছিন্ন সমস্যা নিয়ে…. আর সব চেয়ে বড় চোর যারা তারা মুখে গোবর লেপে বসে আছে। আর আজ পুলিশের মুখে আটা ছুঁড়ে দেওয়া হচ্ছে।’