স্টাফ রিপোর্টা: নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে কয়েকদিন আগেই নাম না করে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বিঁধেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটিতে যাঁরা আগে দায়িত্বে ছিলেন, তাঁরা কোন জমি, কত টাকায় বিক্রি করেছিলেন সেই সংক্রান্ত বিষয়ে খোঁচা দিয়েছিলেন মমতা।
এরপর পাল্টা দিয়েছিলেন শুভেন্দুও। আয়কর তথ্য উল্লেখ করে হিসাব দেখিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। আর এবার শিশির অধিকারীর সম্পত্তি নিয়ে পাল্টা আক্রমণ শানালেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। প্রকাশ্যে আনলেন অধিকারী পরিবারের কর্তা তথা শুভেন্দুর পিতা শিশির অধিকারীর সম্পত্তির হিসাব।
শনিবার এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেন কুণাল। নথি দেখিয়ে পোস্টে তিনি জানান, ২০০৯ সালে শিশির যখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তখন নির্বাচনী হলফনামায় তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১০ লক্ষ টাকা। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ সালে সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়ায় ১০ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে আবার ৩ কোটি।
কুণাল প্রশ্ন তোলেন, ‘‘এই পরিসংখ্যান সত্য না মিথ্যা? ১০ লক্ষ থেকে কী ভাবে ১০ কোটি হল? আবার ১০ কোটি কমে তিন কোটি হল কী করে? এটা কি ম্যাজিক?’’এই পোস্ট ঘিরে তরজার মধ্যে শনিবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকও করেন কুণাল। নথি দেখিয়েই তিনি দাবি করেন, ২০১১ সালে শিশিরের সম্পত্তি ১৬ লক্ষ টাকা ছিল। সেটাই ২০১২ সালে বেড়ে হয়েছে ১০ কোটি টাকা।
তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, ‘‘সম্পত্তি বৃদ্ধির সব চেয়ে বড় উদাহরণ হলেন শিশির অধিকারী। এক বছরে ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি? কী ভাবে সম্ভব এটা? আর শুভেন্দু বাকিদের দিকে আঙুল তুলছেন?’’ তাঁর প্রকাশ্যে আনা তথ্য ঠিক না ভুল, তার জবাব শিশিরের থেকে চেয়েছেন কুণাল।কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে শিশির বলেন, ‘‘সারদায় জেল খাটা আসামির প্রশ্নের কোনও জবাব আমি দেব না। ১৯৬৮ সাল থেকে আমি আয়কর দিচ্ছি।
সব রেকর্ড আছে। কেউ চাইলে দেখে নিতে পারে।’’ কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে সারদা মামলায় যে অভিযোগ উঠেছিল, সেই কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন বর্ষীয়ান সাংসদ। রাজনীতিতে আসার আগে কর্মজীবনে কুণাল ঘোষের কত টাকা বেতন পেতেন, সেই নিয়েও পাল্টা খোঁচা দিয়েছেন শিশির অধিকারী