স্টাফ রিপোর্টা: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের মাঝেই এ বার চাকরি বাতিল করল খোদ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের আমলে নিয়োগ হওয়া ৯৪ জন প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি বাতিল করল এ বার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে উঠে আসে এই শিক্ষকরা টেট ছাড়াই শিক্ষকতার কাজ করছিলেন।
পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআইকে গোটা বিষয়টি দেখতে বলা হয়।শিক্ষক নিয়োগের মামলার তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই আদালতে ৯৬ জনের টেট পাশ নিয়েই সংশয় প্রকাশ করে। সিবিআই এই ৯৬ জন শিক্ষকের তালিকা তৈরি করে, যাঁদের মধ্যে ৯৪ জন টেট পাশই করেননি বলে অভিযোগ। হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই মামলা ওঠে।
ডিপিএসসি মারফত ওই ৯৬ জনকে পর্ষদ ডেকেও পাঠিয়েছিল। এরমধ্যে ৯৫ জন পর্ষদের অফিসে হাজির হয়েছিল।তবে ৯৪ জনই টেট পাশের প্রামাণ্য নথি দেখাতে পারেনি। এই মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহা ৯৪ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। বলেন, মেধার ভিত্তিতে যোগ্যদের চাকরি দিতে হবে।
পর্ষদও মেনে নেয় এই নিয়োগ বেআইনি। এর পর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ওই চাকরিপ্রার্থীদের ডেকে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করে। ওই চাকরিপ্রার্থীরা প্রয়োজনীয় তথ্য জমা না দিতে পারায় তাদের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল পর্ষদ।জানা গিয়েছে, তাঁরা সকলেই দুর্নীতিতে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের আমলে নিযুক্ত।
সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে ডিপিএসসির চেয়ারম্যানদের কাছে পর্ষদের চিঠি পৌঁছেছে। ৯৪ জন জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের কথা বলা হয়েছে সেখানে।