বান্টি মুখার্জি, ঝড়খালি: জেটিঘাটের নদীবাঁধে বড়সড় ধস নামায় মহাবিপাকে পড়েছে সুন্দরবনের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র ঝড়খালি।বর্তমানে পর্যটকশূন্য। যে সমস্ত পর্যটক আসছেন, তাঁরা সেখানে থেকে সুন্দরবন যেতে না পারায় ফিরে যাচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুন্দরবনের অন্যতম ঝড়খালি পর্যটন কেন্দ্রে বাঘ রয়েছে।
প্রতি বছরই বহু পর্যটক ঝড়খালিতে ভ্রমণ করতে আসেন। পাশাপাশি ঝড়খালি হয়ে জলযানের মাধ্যমে সুন্দরবন ভ্রমণ করেন। বর্তমানে ঝড়খালির সেই অন্যতম জেটিঘাট নদীগর্ভে বিলীন হতে বসেছে। গত শুক্রবার থেকে আচমকা হেড়োভাঙা নদীর জলের দাপটে জেটিঘাট সংলগ্ন এলাকার নদীবাঁধে ধস নেমেছে।
ইতিমধ্যে বেশকিছু দোকানপাট, একটি পার্টি অফিস ও একটি মন্দির গ্রাস করে নিয়েছে হেড়োভাঙা নদী। এই ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। যে কোনও মুহূর্তে আরও বড় ধরনের ভাঙন হতে পারে। সেই আশাঙ্কায় অন্যান্য ব্যবসায়ীরা তাঁদের ব্যবসার জিনিসপত্র সহ দোকানঘর ভেঙে অন্যত্র সরে যাচ্ছেন।
বিপদ এড়াতে প্রশাসনের তরফে ভাঙন এলাকায় পর্যটক ও সাধারণ মানুষকে নিষেধ করে যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জেসিবি দিয়ে ভাঙন এলাকায় মাটি ফেলার কাজ চলছে।শনিবারও ভাঙন অব্যাহত ছিল। এলাকার মানুষের দাবি, সামনে কালীপুজোর অমাবস্যা।
ভরা কোটাল। এমন ভাবে ভাঙন চলতে থাকলে ঝড়খালি জেটিঘাটের বড় একটা অংশ হেড়োভাঙা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।