স্টাফ রিপোর্টার: নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে বুধবার নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “কারও কারও ৬০-৭০-৮০টা ট্রলার আছে। নানা লোকে নানা রকম বলে। কত বেনামি বাড়ি আছে।
কত পেট্রোল পাম্প আছে। কত কোটি কোটি টাকা আছে। আমরাও কাগজপত্র বের করছি। এতদিন করিনি।তখন মন্ত্রী ছিলেন বলে ওদিকে নজর দেওয়া হয়নি। ছেড়ে রেখেছিলাম। কিন্তু এবার সব তদন্ত হবে। কাগজ তৈরি করতে বলে দিয়েছি। কেঁচো খুঁড়লে কিন্তু সাপ বেরোবে।”
তখনই গর্জে উঠেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপরই বৃহস্পতিবার মমতার নাম করেই সমাজমাধ্যমে সেই প্রশ্নের জবাব দিলেন শুভেন্দু। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে ‘চ্যালেঞ্জ’ জানিয়ে তাঁর উদ্দেশে ছুড়লেন পাল্টা প্রশ্ন।বৃহস্পতিবার সকালে এক্স হ্যান্ডলে শুভেন্দু তাঁর আয়কর রিটার্ন সংক্রান্ত নথি পোস্ট করেছেন।
সেই সঙ্গে লিখেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা এই আমার সর্বশেষ আয়কর রিটার্ন। বুধবার, আপনি আমাকে নিশানা করেছেন। আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন। অবশ্যই আমার নাম না-করে, কারণ আপনার সেই সাহস নেই।ভিত্তিহীন অভিযোগ করে আমাকেই টার্গেট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঘোষিত সম্পত্তির থেকে এক পয়সা বেশি সম্পত্তি আছে প্রমাণ করুন। সিআইডি, ইডিকে দিয়ে তদন্ত করান।যা তিনি আয়কর রিটার্নে দাবি করেছেন তার চেয়ে ১ পয়সাও বেশি তিনি রোজগার করেছেন সেটা প্রমাণ করে দেখাক সরকারি গোয়েন্দা বাহিনী।’’ শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ, “আপনাকে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের জমির টাইটেল ডিড (মালিকানা হস্তান্তর) সংক্রান্ত নথি প্রকাশ করতে হবে।
কলকাতার কালীঘাট, যেখানে আপনি জমি দখল করে বসবাস করছেন, সেই দখল বৈধ কি না সকলকে জানাবেন না কেন?’’ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর প্রশ্নের জবাব দিতে পারবেন না বলেও এক্স-এর পোস্টে ইঙ্গিত দিয়েছেন শুভেন্দু। লিখেছেন, ‘‘আশা করি আপনি আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার সাহস পাবেন। ক্যামেরার সামনে কথা বলা সবচেয়ে সহজ। এ বার কাজ করে দেখান।’’
শুভেন্দুর ওই পোস্টের ‘জবাব’ দিতে দেরি করেনি তৃণমূল। এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) বিরোধী দলনেতার প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বিরোধী দলনেতাকে খোঁচা দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘‘বিরোধী দলনেতার এমন এর উন্মত্ত প্রতিক্রিয়ার কারণ হল ভয় এবং অপরাধবোধ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি কারও নাম করে কোনও অভিযোগ করেননি।
কোনও ব্যক্তিকেও চিহ্নিত করেননি। তবুও শ্রী অধিকারী তাঁর আয়কর নথি টুইট করেছেন।’’ কুণালের প্রশ্ন, ‘‘কিছু ফাঁস হওয়ার ভয় না থাকলে কেন তিনি (শুভেন্দু) এমন উন্মত্ত প্রতিক্রিয়া জানাবেন? নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে এক জন নেতা কেন এত দূর যাবেন? কী লুকোতে তিনি মরিয়া?’’