স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্য রাজনীতিতে ফের সরব সিঙ্গুর আন্দোলন। ট্রাইবুনাল নির্দেশ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ক্ষতিপূরণ দেবে টাটা সংস্থাকে। ৭৬৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের কথা জানানো হয়েছে।প্রথমে শিল্প গেল। এখন মোটা অঙ্কের টাকাও যাবে রাজ্যের?প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি টাটাকে তাড়িয়ে আখেরে রাজ্যের সব দিক থেকেই লোকসান হল?
এই নিয়েই শুরু রাজনৈতিক চর্চা। দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীরা রীতিমতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আরও বিরোধিতায় নেমে পড়েছেন। কংগ্রেস, সিপিএমও একইভাবে আসরে।এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, এরা রাজনৈতিক স্বার্থে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে সামাজিক বা দেশের কোনও লাভ হয়নি।
এত বড় শিল্পপতিকে ওখান থেকে সরানো হয়েছে। তিন ফসলি জমি দেওয়াটাও ঠিক হয়নি। আবার সেই জমিকে বন্ধ করে দিয়ে বেকার করে দেওয়ার কোনও মানে হয় না। দিলীপ ঘোষের কথায়, সিপিএমও করেছে নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে। তৃণমূল কংগ্রেসও তাই করেছে। তার ফল ভুগতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে।
চাকরিও গেল, ব্যবসা গেল, জমিও গেল। এখন টাকাও যাবে।এর দায়টা কে নেবে??বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়, টাটাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যছাড়া করেছিলেন। রাজ্য এখন লক্ষ্মীছাড়া হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের ভাঁড়ার শূন্য। ক্ষতিপূরণ দিতে হলে কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে হবে।
রাজ্য সরকার আদালতে যেতে পারে। কিন্তু কতটা তাতে আখেরে লাভ হবে? তাই নিয়েও প্রশ্ন সুকান্ত মজুমদারের।অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী রীতিমতো আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছেন এই সরকারের বিরুদ্ধে।শুভেন্দু কথায়, এই টাকা যাতে কোনওভাবেই মানুষের করের টাকা থেকে না দেওয়া হয়।
তৃণমূলের পার্টি ফান্ড থেকে দেওয়া হয়। তৃণমূলের অনেক টাকা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন নিজের পার্টি ফান্ড থেকে এই টাকা দেয়।রাজ্য সরকার কি তাহলে ট্রাইবুনালের এই নির্দেশ মেনে নেবে? না কী ফের উচ্চ আদালতে যাবে? সেই প্রশ্ন উঠেছে।রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।
রাজ্য প্রশাসনের একাধিক শীর্ষ আমলা মঙ্গলবার আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ শুরু করেছেন। তবে এই নির্দেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা করা হবে, না কি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া হবে, সে বিষয়েও আলোচনা চলছে বলে সূত্রের খবর।