রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, কাকদ্বীপ : দেশলাই কাঠি দিয়ে ভারতের সব থেকে ছোটো ইজেল স্ট্যান্ড বানিয়ে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুললো কাকদ্বীপের ছাত্রী কোয়েল পুরকাইত। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ ব্লকের হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার স্বামী বিবেকানন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের সুভাষগ্রামের বাসিন্দা কোয়েল পুরকাইত।
কোয়েল বর্তমানে কাকদ্বীপ বীরেন্দ্র বিদ্যানিকেতনের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। কোয়েলের বয়স যখন তিন বছর, তখন থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি নাচ ও ছবি আঁকা শেখে। বর্তমানে নাচ এবং ছবি আঁকাতে বহু পুরস্কারেও পুরস্কৃত হয়েছে।পড়াশুনার পাশাপাশি ছবি এঁকেও স্কুলের সুনাম অর্জন করেছে কোয়েল।
আর এসব থেকেই অনুপ্রেরণা পেয়ে দেশলাই কাঠি দিয়ে একটি ইজেল স্ট্যান্ড বানিয়ে ফেলে। আর যা ভারতের সবথেকে ছোটো ইজেল স্ট্যান্ড হিসেবে নির্বাচিত হয়। ইজেল স্ট্যান্ডটির দৈর্ঘ্য প্রস্থ ৩.৯ × ৩.৪ সেন্টিমিটার। এটি তৈরি করতে কোয়েলের সময় লেগেছে মাত্র ১৫ মিনিট।
ভারতের সবথেকে ছোটো ইজেল স্ট্যান্ড বানানোর জন্য কোয়েলকে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড থেকে সম্মানিত করা হয়। ইতিমধ্যে তার বাড়িতে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসের পুরস্কার ও শংসাপত্র পৌঁছেছে। বাড়িতে পৌঁছানোর পরেই কোয়েলের পরিবারে খুশির হাওয়া বইছে।
তবে এর পুরো কৃতিত্বই কোয়েল তার পরিবার ও অংকন শিক্ষক দেবরাজ বেরাকে দিতে চায়। এ বিষয়ে কোয়েল পুরকাইত জানায়, খুব ছোটো থেকে আমি নাচ ও ছবি আঁকা শিখি। আমাকে ছবি আঁকতে অনুপ্রেরণা যোগিয়েছেন আমার পরিবারের পাশাপাশি আমার অংকন শিক্ষক।
যাদের আশীর্বাদ ছাড়া আমি এই কাজটি করতেই পারতাম না। আমার কৃতিত্ব সম্পূর্ণ এদের দিতে চাই। আমি বড় হয়ে একজন চিত্রশিল্পী হতে চাই। আমার পরবর্তী লক্ষ্য গ্রীনিচ বুকে নাম তোলা।কোয়েল ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডে নাম তুলে কাকদ্বীপের নাম উজ্জল করেছে।কোয়েলের এই কৃতিত্বের জন্য গর্বিত তার সহপাঠী, শিক্ষক শিক্ষিকা, কাকদ্বীপবাসী।
ইতিমধ্যে কোয়েলকে স্বামী বিবেকানন্দ অঞ্চল যুব তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সম্মানিত করা হয়েছে। এছাড়াও রবিবার রাতে কাকদ্বীপ বিধানসভার বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা তার বাড়িতে গিয়ে কোয়েলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।