হেদায়তুল্লা পুরকাইত, ডায়মন্ড হারবার: গত লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। এবার ৪ লক্ষ ভোটে জেতাতে হবে বলে কর্মী-সমর্থকদের প্রতি আগেভাগে আহ্বান জানালেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমার যা প্রয়োজন, তা আপনাদের কাছ থেকে চেয়ে নেব। সোমবার ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সরিষা হাইস্কুল মাঠে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন তিনি।
ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে প্রতিবার দুর্গাপূজোর আগে এখানকার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বস্ত্র বিতরণ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো সোমবার বিকালে ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার সরিষা হাইস্কুল মাঠে আসেন বস্ত্র বিতরণ করতে।
এখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ২০১৯ সালে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাতে ডায়মন্ড হারবার লাইটহাউস মাঠে প্রধানমন্ত্রী এসে সভা করে বলেছিলেন, নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস হারবে আর তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে তালা পড়বে। এমন কী অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা এসে একমাস পড়েছিলেন আমাকে হারাবেন বলে।
বিজেপির বড় বড় নেতারা এসেও আমাকে হারাতে পারেননি। তার কারণ আপনাদের জন্য। আপনারা দু’হাত তুলে আমাকে আর্শীবাদ করেছিলেন। রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ সবচেয়ে বেশি ভোটে জিতেছিলেন। তারপর আমি। ডায়মন্ড হারবারের আমি ৩ লক্ষ ২১ হাজার ভোটে জয়লাভ করেছিলাম।
এবার তার থেকে আরও বেশি ভোটে জয়লাভ করাতে হবে। ৪ লক্ষ ভোটে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে আমাকে জেতাতে হবে৷ তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের সময় করোনার জন্য দেশের অন্যান্য রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন একদফাতে হয়েছে। আর এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন আট দফাতে হয়েছে।
তার মধ্যে আবার ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে তিনদফা নির্বাচন হয়েছে। এতকিছু করেও লাভ হয়নি। গতবারের লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীরা হেরেছে। এবারও লোকসভা নির্বাচনে তাই করবেন। ১০০ দিনের কাজের টাকা আগামী ৬ থেকে ৭ মাসের মধ্যে কেন্দ্র যদি ব্যবস্থা করে তো ভালো।
নাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন এত টাকা খরচ করে লক্ষ্মীর কমান্ডারের টাকা দিতে পারেন, তখন আপনাদের ১০০ দিনের কাজের টাকাও ব্যবস্থা করে দেবেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রের মন্ত্রীর সঙ্গে আমরা দেখা করতে দিল্লি গিয়েছিলাম। আমাদের টেনেহিঁচড়ে কেমন ভাবে বের করে দিয়েছে, আপনারা তা দেখেছেন।
আমাদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে তিন ঘণ্টা বসিয়ে রেখেও দেখা না করে পিছনের দরজা দিয়ে মন্ত্রী পালিয়ে গিয়েছেন। তারপর আমরা রাজ্যে এসে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে ১০০ দিনের কাজের টাকা পাওয়ার জন্য গিয়েছিলাম। দেখা হয়নি বলে পাঁচদিন ধরনা দিয়ে বসে থাকার পর দেখা হয়েছে। ওগুলো একটা ট্রেলার। আসল সিনেমা দেখবেন ১ নভেম্বর থেকে।
এদিন সভা শেষে মঞ্চ থেকে এলাকার মানুষের হাতে পুজোর উপহার হিসেবে নতুন বস্ত্র তুলে দেন অভিষেক। এদিন ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সরিষায় প্রথম বস্ত্র বিতরণ করেন। তারপর ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে মশাট খাজের পোল হাসপাতাল মাঠে যান। সেখানে বক্তব্য রাখার পর বস্ত্র বিতরণ করেন।