হেদায়তুল্লা পুরকাইত, ডায়মন্ড হারবার : নারীশক্তি বাহিনীর হাত ধরে দিদির দেওয়া লক্ষী ভান্ডারের টাকায় গ্রামে প্রথম শুরু হতে চলেছে দুর্গা দেবীর আরাধনা। খুশির হাওয়া উস্থি থানার একাতারা পঞ্চায়েতের মলয়া গ্রামে। উস্থি মলয়া গ্রামে বেশির ভাগ মানুষের প্রধান জীবিকা কৃষি কাজ।
শরৎকালে মলয়া গ্রামে চারিদিক থেকে মাইকের শব্দ ভেসে আসে “আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোক মঞ্জীর….”। তখন মলয়া গ্রামের বাসিন্দারা যে যার কৃষি কাজে ব্যস্ত থাকলেও, মনের ইচ্ছা দুর্গা দেবীর আরাধনা করা কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় খরচ। বহু বছর ধরে মনের ইচ্ছা থাকলেও গ্রামে দুর্গা পূজা করা সম্ভব হয়নি।
ফলে গ্রামের আশেপাশে কোথাও দূরে গিয়ে দুর্গা পূজা থেকে শুরু করে অঞ্জিল দিয়ে আসতো মলয়া গ্রামের বাসিন্দারা। বহুদিনের ইচ্ছা দূর করতে চলেছে মলয়া গ্রামের নারীশক্তি বাহিনী। মলয়া গ্রামের ২৫ জন গৃহবধূ নিজেদের উদ্দ্যোগে একবছর আগে থেকে চিন্তা ভাবনা শুরু করে, যে কোন প্রকারে মলয়া গ্রামে প্রতিষ্ঠিত করা হবে দূর্গা মায়ের আরাধনা।
চিন্তা ও মনের ইচ্ছা থাকলেও বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় অর্থ। শেষে কয়েক জন গৃহবধূর চিন্তা ভাবনাকে গুরুত্ব দেয় বাকী আরও মহিলা। আলোচনা হয় রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া লক্ষী ভান্ডারের জমানো টাকা থেকে শুরু হবে মলয়া গ্রামের দুর্গা পূজা। দিদির দেওয়া লক্ষী ভান্ডারের পাওয়া জমানোর টাকা থেকে শুরু হবে এই প্রথম মলয়া গ্রামে দুর্গা পূজা।
এবারে মলয়া গ্রামের আকাশে বাতাসে বাজতে চলেছে “আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোক মঞ্জীর… “। খুশির হাওয়া মলয়া গ্রামে, মলয়া নারীশক্তি বাহিনীর সম্পাদক রূপশ্রী মালি জানান, মলয়া গ্রামে এই প্রথম দুর্গা পূজা শুরু হতে চলেছে। আগে কখনও এই গ্রামে দুর্গা পূজা হয়নি। এবারে নারীশক্তি বাহিনী হাত ধরে আর কয়েকদিন পর শুরু হবে দুর্গা দেবীর আরাধনা।
পূজার বাজেট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। এই টাকা বেশির ভাগ দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া লক্ষী ভান্ডারের টাকা থেকে। আমার গ্রামের গৃহবধূ ২৫ জন মিলে ঠিক করি, দিদি যে লক্ষী ভান্ডারের টাকা দেয়, তা জমিয়ে গ্রামের দুর্গা পূজা শুরু হবে। সেই আলোচনা করে এক বছর আগে থেকে ২৫ জন মহিলা লক্ষী ভান্ডারের দেওয়া টাকা জমাতে শুরু করি।
সেই জমানো টাকা থেকে দুর্গা পূজার আয়োজন শুরু, বাকী কিছু টাকা কম পড়ছে, তার জন্য গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাঁদা তোলা হচ্ছে। গ্রামের সকল মানুষ আমাদের সাহায্য করছে। আশাকরি প্রতি বছর এইভাবে দুর্গা পূজা করা যাবে।