সংবাদ সংস্থা: বুধবার দিল্লিতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত জিতবে তা একপ্রকার নিশ্চিত ছিল। শুধু দেখার ছিল যে, আইপিএলে খেলে যাওয়া রশিদদের বিরুদ্ধে রোহিত শর্মার দল কতটা এক পেশে ভাবে জিততে পারে। দিল্লিতে প্রথমে ব্যাট করে আফগানিস্তান তুলেছিল ২৭২ রান। ভারত সেই রান তুলল ১৫ ওভার বাকি থাকতে।
বুধবার রোহিত টস হেরে যান। তাতে কোনও অসুবিধা হয়নি। আফগান অধিনায়ক হসমতুল্লা শাহিদি টস জিতে ভারতকে বল করার সুযোগ করে দেন। দিল্লির পাটা পিচে প্রথম থেকেই রান করতে শুরু করেছিলেন আফগান ওপেনারেরা। মহম্মদ সিরাজ তাঁর প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে দেন।
যশপ্রীত বুমরা প্রথম উইকেট নেন। এর পর হার্দিক পাণ্ড্য এবং শার্দূল ঠাকুর একটি করে উইকেট তুলে নিয়েছিলেন ৬৩ রানে ৩ উইকেট চলে গিয়েছিল আফগানিস্তানের। কিন্তু তার পরেই ভারতীয় বোলারদের হঠাৎ ধার কমে গেল। ১২১ রানের জুটি গড়েন হসমতুল্লা এবং আজমাতুল্লা ওমারজাই। তাঁদের উইকেট তুলতেই পারছিল না ভারত।
বুমরাদের কঠিন পরীক্ষা নিলেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত সেই জুটি ভাঙেন সহ-অধিনায়ক হার্দিক।আফগানিস্তানের ইনিংস থামে ২৭২ রানে। হসমতুল্লা ৮০ রান করেন। আজমাতুল্লা করেন ৬২ রান। ভারতের বিরুদ্ধে পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করে আফগানিস্তান। বুমরা ৪ উইকেট নেন। হার্দিক নেন দু’টি। একটি করে উইকেট নেন শার্দূল এবং কুলদীপ।
চিন্তার কারণ হয়ে রইলেন মহম্মদ সিরাজ। তিনি ৯ ওভারে ৭৬ রান দিলেন। কোনও উইকেট নিতে পারেননি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকে আগ্রাসী মনোভাব দেখায় রোহিত।ভারত অধিনায়ক মাত্র ৬৩ বলে শতরান করেন।যে মেজাজে তিনি খেলা শুরু করেছিলেন, তাতে একটা সময় মনে হচ্ছিল আরও কিছুটা রান করলে হয়তো রোহিত দ্বিশতরান করে ফেলবেন। তবে রশিদের গুগলিতে শেষ পর্যন্ত রোহিত ৮৪ বলে ১৩১ রান করে আউট হন।
ভারতের হয়ে রোহিত ছাড়াও রান পেয়েছেন ঈশান কিশন। ৪৭ রান করেন তিনি। বিরাট অপরাজিত থাকেন ৫৫ রানে। শ্রেয়স করেন করেন ২৫ রান। যে রান করতে আফগানিস্তান ৫০ ওভার নিল সেটা ভারতের ব্যাটারেরা করে দিলেন ৩৫ ওভারে। অস্ট্রেলিয়ার পর আফগানিস্তানের বিরুদ্ধেও ম্যাচ জিতে নিল ভারত। এ বার সামনে পাকিস্তান। শনিবারের সেই যুদ্ধের দিকেই তাকিয়ে ক্রিকেট বিশ্ব।