স্টাফ রিপোর্টার: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবারের পর বুধবারও বিচারপতির ভর্ৎসনার শিকার সিবিআই।নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বুধবারই কলকাতা হাইকোর্টে কেস ডায়েরি জমা করেছে সিবিআই। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে এদিন কেস ডায়েরি জমা পড়ে। আর কেস ডায়েরি জমা পড়তেই আদালতে ফের একবার ভর্ৎসিত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সিবিআইয়ের জমা দেওয়া কেস ডায়েরিতে সন্তুষ্ট নন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।যেভাবে তদন্ত করা প্রয়োজন ছিল, তেমনভাবে হয়নি বলেই মনে করছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
প্রায় এক বছর হতে চলল, সিবিআই এখনও কোনও উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে পারনি। সত্য সামনে আনতে তাদের অনীহা চোখে পড়েছে। তাই সিবিআই ডিরেক্টরকে আদালতের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।আগামী ৪ অক্টোবরের শুনানিতে সিবিআই ডিরেক্টর প্রবীণকুমার সুদকে ভার্চুয়ালি হাজিরার নির্দেশও দেন তিনি।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “আপনাদের কাজ কি মানুষকে বোকা বানানো? মঙ্গলবারের শুনানিতে দেখলাম অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সিবিআই করেনি। আজকেও দেখলাম সাধারণ ভাবে যে প্রশ্ন করা উচিত ছিল, সিবিআই তা করেনি। সিবিআই যে বলছে তাঁরা (নাম উঠে আসা ব্যক্তিরা) সহযোগিতা করছেন না, সেই বক্তব্যের সাপেক্ষে কিছু পাইনি।
নিয়োগপ্রার্থীদের আরও গভীরে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। যখন কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন, তখন সিরিয়াসনেসের এত অভাব কেন?” অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “এই মামলায় আর কোনও আধিকারিকের প্রয়োজন নেই, প্রধানমন্ত্রীকে প্রয়োজন। সিবিআই আদালতের সঙ্গে খেলা করছে, তারা দুর্নীতির পর্দাফাঁস করার লক্ষ্যে তদন্ত করছে না।”
মঙ্গলবার ওএমআর শিট মামলায়, কড়া কড়া শব্দবন্ধে সিবিআই-কে ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, সিবিআই অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। এবার আমি আপনাদের পদক্ষেপ বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখব।আপনারা দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা করছেন।
এবার মঙ্গলবারের পর বুধবারও নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইকে কড়া সুরে ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি সিবিআই অধিকর্তাকে ভার্চুয়ালি হাজির থাকার নির্দেশও দিলেন তিনি।