স্টাফ রিপোর্টার: অভিযোগ স্বীকার করানোর জন্য চাপ দিচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আইনজীবী মারফত আদালতকে জানালেন ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর আইনজীবীরা ব্যাঙ্কশালে ইডির বিশেষ আদালতে আবেদন করেছেন, ইডি আধিকারিকরা তাঁর উপর অসাংবিধানিকভাবে চাপ দিচ্ছে, যাতে তিনি তাঁর উপর উঠে আসা অভিযোগগুলি স্বীকার করে নেন।
তাই আদালতের কাছে অভিযুক্তর আইনজীবী আবেদন জানান, যেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে জেরার সময় তাঁর আইনজীবী উপস্থিত থাকেন। উল্লেখ্য, এর আগে কুন্তল ঘোষও জেরার সময় তাঁকে চাপ দেওয়ার কথা উল্লেখ করে ইডি ও সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে জেল থেকে চিঠি দিয়েছিলেন।
এদিন আদালতে সুজয়কৃষ্ণর ব্যাপারে শুনানির সময় ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি ও ভাস্করপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সারাক্ষণ জেরার সময় আইনজীবীরা উপস্থিত থাকবেন, এমনটা সম্ভব নয়। জেরার সময় অসাংবিধানিকভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তাও সত্যি নয়। এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীরাও জেরার সময় উপস্থিত থাকার জন্য আবেদন করেছিলেন।
আদালত একদিন আধ ঘণ্টার জন্য জেরার সময় উপস্থিত থাকার অনুমতি দিয়েছিল। মাত্র পাঁচদিনের জন্য ইডির হেফাজতে রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণবাবু। হেফাজতে থাকাকালীনই দু’বার আইনজীবী তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। অভিযুক্তর মেয়েও একবার বাবার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান।
বিচারক তাঁর নির্দেশে জানান, আইন অনুযায়ী অভিযুক্ত হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর আইনজীবী দেখা করতে পারলেও সারাক্ষণ জেরার সময় থাকতে পারেন না। জেরার সময় দূর থেকে অভিযুক্তকে আইনজীবী দেখতে পারবেন, কিন্তু জেরায় তিনি কী বলছেন, তা শুনতে পারবেন না। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক জানান, অভিযুক্তর একজন আইনজীবী একদিন অন্তর একদিন আধঘণ্টার জন্য তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন।
কিন্তু সময়টি হবে অভিযুক্তর বয়ন নেওয়ার আগে অথবা পরে। আইনজীবী আসার আগে তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে নেবেন। আইনজীবী কখন অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর সঙ্গে দেখা করতে আসছেন, ইডির তদন্তকারী আধিকারিককে তার রেকর্ড রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।