স্টাফ রিপোর্টার: ওড়িশার বালেশ্বরে একসঙ্গে তিন তিনটি ট্রেনের ধাক্কায় নজিরবিহীন দুর্ঘটনার সাক্ষী দেশ। দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে সমস্ত খতিয়ে দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, ওড়িশা ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীরা।এবার এই দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার হাওড়া থেকে তিনি বলেন, ”এত বড় একটা দুর্ঘটনা! করমণ্ডল এক্সপ্রেস এখন মৃত্যুমণ্ডল।
রাজনীতি বাদ দিয়ে সবাই মিলে উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত। কিন্তু এই যে এত নিরীহ মানুষেক নির্মমভাবে মৃত্যু হল, তার দায় তো কাউকে নিতে হবে! রেলের ভূমিকা নিয়ে অনেক প্রশ্নই ওঠে। দুর্ঘটনার পরও রেলের তরফে কোনও গাইডেন্স, নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। উদ্ধারকাজেও রেলের আধিকারিকরা সাহায্য় করেননি বলে অভিযোগ করছেন যাত্রীরা। এই মুহূর্তে রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।”
অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস কেন ছিল না দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনগুলিতে? এমনকী রেলরুটেও ছিল না কেন? দুর্ঘটনার পর এই প্রশ্ন উঠেছে। সেই প্রশ্নই আরেকবার উসকে দেন অভিষেক। তাঁর বক্তব্য, ”অ্যান্টি কমিশন ডিভাইস বা কবচ থাকলে কি আর এত বড় দুর্ঘটনা ঘটত? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বারবার এর কথা বলেছেন। এখনও কেন ট্রেনগুলিতে নেই?
আমার মনে হয়, রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।” মোদি সরকারের আমলে ভারতের রেল সংস্কারে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে কটাক্ষ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁর বক্তব্য, ”সেমি হাইস্পিড বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধন করছেন, আগে আগে গিয়ে সবুজ পতাকা দেখাচ্ছেন, কিন্তু যখন ট্রেন দুর্ঘটনায় সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ঘটছে, তখন কেন তার দায় তিনি নেবেন না?
আসলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা নিজেরা তো কখনও রেলে চড়েন না। এই যে বাংলায় আসেন মোদি, অমিত শাহ, তাঁরা কখনও ট্রেনে আসেন? আসেন তো বিশেষ বিমানে। তাঁরা আর কী বুঝবেন? আমি আবার অনুরোধ করছি, রাজনীতির স্বার্থে সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলবেন না।”