খবরজেলা

উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম দশে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের ৯ পড়ুয়া

প্রদীপকুমার সিংহ, নরেন্দ্রপুর: মাধ্যমিক পরীক্ষায় নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন ১ থেকে ১০-এর মধ্যে ১২ জন ছাত্র ছিল। উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম দশে রয়েছেন ৯ পড়ুয়া। এর মধ্যে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের ছাত্র শুভ্রাংশু সর্দার প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। চতুর্থ স্থানে একজন, ষষ্ঠ স্থান একজন, সপ্তম স্থানে তিনজন, অষ্টম স্থান একজন এবং নবম স্থানে দু’জন রয়েছেন।

প্রথম হওয়া শুভ্রাংশু সর্দারের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬। চতুর্থ হয়েছেন নরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩। ষষ্ঠ হয়েছে অর্কদীপ ধাড়া। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯১। সপ্তম হয়েছেন বিতান শাসমল, অর্ক ঘোষ, অভিরূপ পাল। এঁদের প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯০। অষ্টম সাইদ শাকিল কবি। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৯। নবম হয়েছেন সায়ন সাহা ও অর্কপ্রতিম দে। এঁদের প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৮।

প্রথম স্থানাধিকারী শুভ্রাংশু সর্দার বলেন, সারাদিনে অন্তত চার ঘণ্টা পড়েছি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর কার্যত কোনও বিচরণ নেই ৷ আগামীদিনে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশুনা করার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর৷ মিশনের ছাত্রদের নিয়ে যে ব্যান্ড রয়েছে, সেই জোনাকির একসময় লিড সিঙ্গার ছিলেন শুভ্রাংশু৷ এদিনও সবার আবদারে দু’কলি গান গেয়ে শোনান তিনি, ‘বন্ধু তোমায় কী গান শোনাব এই বিকেল বেলায়৷’

শুভ্রাংশু জানান, স্কুলের শিক্ষকরা তাঁকে খুব সাহায্য করেছেন৷ এছাড়া তাঁকে সবথেকে বেশি সাহায্য করেছে স্কুলের লাইব্রেরি৷ যেখানে সময় কাটাতে ও পড়াশুনা করতে পছন্দ করত।বন্ধুদের সঙ্গে পড়াশুনা নিয়ে প্রতিযোগিতা ছিল। তবে তা সুস্থ প্রতিযোগিতা৷ শুভ্রাংশুর বক্তব্য, ভালো রেজাল্টের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী ছিলেন৷ তবে একেবারে প্রথম হবে সেটা ভাবেননি৷

ভালো রেজাল্ট বা পড়াশুনা করার জন্য একটা প্যাশন থাকতে হবে বলে মনে করেন শুভ্রাংশু৷ তাঁর বাবা তাপস সরদার পিক আপ ভ্যান চালান৷ বাড়িতে অর্থাভাব রয়েছে ৷ মোবাইলেই তাঁরা জানতে পারেন ছেলের প্রথম হওয়ার খবর ৷ তাঁরও বক্তব্য, জেদ থাকতে হবে। তবে জীবনে সাফল্য আসবে৷ গিফট হিসেবে বই সবসময় পছন্দ করত৷ এমনকী পুজোর সময় নতুন জামাকাপড়ের বদলে বই নিত শুভ্রাংশু৷

মা বাড়িতেই টুকটাক সেলাইয়ের কাজ করেন৷ তিনি জানান, ছেলে একটু ফুডি৷ খেতে ভালোবাসে৷ বিরিয়ানি, চাইনিজ খাবার শুভ্রাংশুর পছন্দ বলে জানালেন তাঁর মা শম্পা সরদার৷শুভ্রাংশু সর্দারকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

সেই সঙ্গে জেলা শিক্ষা দপ্তরের প্রতিনিধিরা শুভ্রাংশু সর্দারের হাতে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা, মিষ্টি ও পুষ্পস্তবক দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ সোনারপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক লাভলী মৈত্র। তিনি শুভ্রাংশু সরদারের হাতে একটি হিসাবশাস্ত্রের বই উপহার দেন।

Related Articles

Back to top button
error: Content is protected !!