
প্রদীপকুমার সিংহ, বারুইপুর: এগরা ও বজবজে বাজি বিস্ফোরণকাণ্ডের পর বারুইপুর জেলা পুলিশের টনক নড়ল। বারুইপুর থানার অন্তর্গত চম্পাহাটির হারাল থেকে বেশ কয়েক হাজার কেজি নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। থানার পক্ষ থেকে বাজি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে কয়েকদিন ধরে মাইকিং করে সতর্ক করে হচ্ছে, যাতে ব্যবসায়ীরা নিষিদ্ধ বাজি মজুত বা বিক্রি না করেন।
বাজি তৈরির মশলাও যেন মজুত না করা হয়। সোমবার বিকেলে বারুইপুরের চাম্পাহাটি হারাল আতশবাজি অ্যাসোসিয়েশনের অফিসে কড়া নির্দেশ দেন এসডিপিও বারুইপুর অতীশ বিশ্বাস ও আইসি বারুইপুর সৌম্যজিৎ রায়। চাম্পাহাটির হারালে প্রায় চল্লিশ হাজার মানুষ এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। সোমবার বিকেল থেকেই হারালের প্রায় ১৫০ বাজির দোকান বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশের পক্ষ থেকে এদিন বারুইপুরের এসডিপিও এবং আইসির নেতৃত্বে ব্যাপক অভিযান চালানো হয়। মোট আঠারো হাজার কেজি নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। নিষিদ্ধ বাজি যারা তৈরি করে, তাদের কতজনকে গ্রেফতার হয়েছে, সে খবর পাওয়া যায়নি।
এদিন হালালে বাজি ব্যবসায়ীদের বৈঠক হয়। সেখানে ঠিক হয়, তাঁরা প্রশাসনের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করবেন।চম্পাহাটির হারালে আগামী দুই-তিন মাস বাজি তৈরি, বাজি মজুত ও বাজি বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বারুইপুর জেলা পুলিশ। তবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত বাজি ব্যবসায়ীরা বলেছেন, প্রশাসন থেকে যে কড়া পদক্ষেপই নেওয়া হোক না কেন, আমরা তা শুনতে বাধ্য।
অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নিলে কিছুটা সমস্যার সমাধান হবে।সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকাল পাঁচটায় নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বাজি ব্যবসায়ীদের বৈঠক হওয়ার কথা।