
সানওয়ার হোসেন, কুলপি: একের পর এক দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগে শাসকদলের অস্বস্তি ক্রমেই বেড়েছে। ইতিমধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। তাই জোরকদমে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখে নয়া কর্মসূচি শুরু করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কোচবিহার থেকে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচির সূচনা হয়। দীর্ঘ দু’মাস পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে শেষ হবে এই কর্মসূচি।তারই আগে সোমবার কুলপি বিধানসভার দলীয় কার্যালয়ে একটি সাধারণ সভায় তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচি ও যোগদান মেলার প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপস্থিত ছিলেন কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার, সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পূর্ণিমা হাজারি, কুলপি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুপ্রিয় হালদার ও সহ-সভাপতি নাসিরউদ্দিন বলদিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ সদস্য নিরঞ্জন মাঝি, কুলপি ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সামসুর আলম মির সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এদিন বিকেলে কুলপির ১৪টি অঞ্চলের প্রধান ও অঞ্চল সভাপতি এবং তৃণমূলের আঞ্চলিক নেতৃত্বকে নিয়েই এই সভা হয়। সভায় ব্লক সভাপতি সুপ্রিয় হালদার সাফ জানান, প্রার্থী নিয়ে কোনও জেদাজেদি করা যাবে না। সমস্ত বুথ কমিটিগুলিকে সক্রিয় করতে হবে। বিশেষ করে আইএসএফ ও বিজেপি ধর্মের নামে সুড়সুড়ি দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, সেদিকটায় খেয়াল রাখতে হবে।
আর প্রার্থী নিয়ে কোন্দল না করে বুথের সংগঠন শক্তিশালী করার দিকে জোর দিতে হবে।গত রবিবার ঢোলাবাজারে সিপিএমের সভায় কয়েক হাজার তৃণমূল নেতা-কর্মীর যোগদান প্রসঙ্গে বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার বলেন, তৃণমূল থেকে কেউ সিপিএমে যোগ দিয়েছেন বলে আমার মনে হয় না।
তবে সিপিএমের একাংশ আইএসএফ ও তৃণমূলে এসেছিলেন। তাঁরাই পুনরায় সিপিএমে গিয়েছেন। এতে আমাদের দলের কিছুই যায় আসে না। বিধায়ক আরও জানান, কুলপি ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চলের অন্যান্য দলের ২৩ জন নেতা সহ প্রায় ২৫০ জন আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করবেন।
এদিন দলীয়ভাবে তার প্রস্তুতিপর্ব সারা হল। প্রার্থী নিয়ে বেশ কিছু বুথে যে কোন্দল দেখা দিয়েছিল, সেগুলো মিটিয়ে ফেলা হয়েছে। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে আশা করছি, ১৪টি পঞ্চায়েতই তৃণমূল পাবে।