খবররাজ্য

‘কেস খাওয়া কপালে লেখা, তৃণমূলও বাদ গেল না’: অভিমানী মদন

স্টাফ রিপোর্টার: রোগী ভর্তি নিয়ে এসএসকেএমের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন মদন মিত্র।সরাসরি হাসপাতাল কতৃপক্ষকে আক্রমণ করেন মদন মিত্র।আর এরপরেই পাল্টা বিধায়কের বিরুদ্ধে গুন্ডাগিরির কার্যত অভিযোগ তোলেন সুপার। এমনকি হাসপাতালের স্টাফদের নিগ্রহ করা হয় বলেও অভিযোগ।এবার মদন মিত্রের বিরুদ্ধে এফআইআর করল এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় ভবানীপুর থানাতে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। একাধিক ধারায় এই মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেই এহেন সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আর এহেন অভিযোগের পরেই পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মদন মিত্র।তিনি বলেন, পারলে গ্রেফতার করে দেখান।

কংগ্রেস জমানায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সিপিএম জমানাতেও হয়েছে। এ বার নিজের দল, নিজের সরকার মামলা করল। আমার জীবনে মামলার বৃত্ত পূর্ণ হল। আমার কোনও আক্ষেপ নেই। বিজেপির পয়সা খেয়ে দলের ক্ষতি করিনি। দলকে ধন্যবাদ। আজ আমার নতুন জন্ম হল।মদন বলেন, ‘‘কেস খেয়ে আমি একটুও লজ্জিত নই। কেস খাওয়া আমার কপালে আছে। সোনা পাচার, গরু পাচারের জন্য কেস খায়নি।

নিজের কোনও লোককে হাসপাতালে ভর্তি করতে গিয়ে কেস খাইনি।’’ এর পরে অভিমানী সুরে বলেন, ‘‘কণ্ঠে আমার কাঁটার মালা, কেসের মালা ফুলের মালা নয়, যাঁরা কেস করেছেন, ভাল করেছেন। এ বার আমি কামারহাটিতে বুক ফুলিয়ে ঢুকব। সোনা পাচার, কয়লা পাচার, গরু পাচারের জন্য কেস খাইনি, কেস খেয়েছি স্বাস্থ্যকর্মীকে ভর্তি করার জন্য।

আমার গর্ব, আমি জনগণের জন্য কেস খেয়েছি। আমি তৃণমূল বিধায়ক হয়েও তৃণমূল আমলে কেস খেয়েছি।’’দল সম্পর্কে এমন কথা বললেও তিনি যে ‘দুঃখিত’ বা ‘অভিমানী’ তা মানতে চাননি মদন। বলেন, ‘‘আমার কোনও দুঃখ, অভিমান নেই। ওই ব্যক্তির জন্য মুখ্যমন্ত্রী যে ব্যবস্থা করেছেন, তা দেখে আমি আপ্লুত। এটাই আমাদের সরকারের মানবিক মুখ।’’

অন্যদিকে এদিন মদন মিত্রের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন কুণাল ঘোষ।বৈঠক শেষে কুণাল ঘোষ বলেন, আলোচনার ভিত্তিতে সমস্ত সমস্যা মিটে গেছে। কিন্তু আদৌও কি সমস্যা মিটল? নাকি আইনি জটিলতা আরও বাড়তে চলেছে? সেদিকেই নজর রয়েছে সবার।

Related Articles

Back to top button
error: Content is protected !!