
বান্টি মুখার্জী, ক্যানিং : মাধ্যমিকে রাজ্যে দ্বাদশতম স্থান অধিকার করেছে ক্যানিংয়ের মাতলা ২ পঞ্চায়েতের রাজারলাট পূর্ব পাড়ার নবনীতা দাস। বাবা নবকুমার দাস পেশায় একজন শিক্ষাবন্ধু। মা নবরত্না দাস একজন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। দাস পরিবারের দুই কন্যা। ছোট নবনীতা। ছোট থেকেই অত্যন্ত মেধাবী। যে কোন বিষয়কে অনায়াসেই রপ্ত করে নিতে অভ্যস্ত।প্রাইমারী শিক্ষা শুরু হয় ক্যানিং টাইনিটট স্কুলে।
প্রাইমারী শিক্ষা শেষে সরকারী নিউ ইনট্রিগেটেড গভঃ স্কুলে ভর্তি হয়।মাধ্যমিকে ভালো ফলাফল হবে এমনটা আশা করেছিল নবনীতা ও তার বাবা-মা। কিন্তু ফলাফল বের হতেই দাস পরিবারের চক্ষু চড়কগাছ।এতো ভালো ফলাফল হবে আশা করতে পারেননি দাস পরিবারের কেউই। এমন সাফল্য আশা ছিল না দাস পরিবারের। নবনীতার প্রাপ্ত নম্বর ৬৭০।
বাংলায় ৯৭, ইংরাজী ৯০, গণিত ৯৭, ভৌত বিঞ্জান ৯৯, জীবন বিঞ্জান ৯৯, ইতিহাস ৯০, ভূগোলে ৯৮ নম্বর পেয়েছে।নাচ, গান, আবৃতি, অঙ্কনেও সমান ভাবে পারদর্শী নবনীতা। অঙ্কনে বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে প্রথম পুরষ্কার ছিনিয়ে এনেছে। এমন একাধিক পুরষ্কার নবনীতার থলিতে রয়েছে।
এবার মাধ্যমিকে রাজ্যের মধ্যে দ্বাদশ স্থান অধিকার করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে নবনীতা। তার ইচ্ছে ডাক্তার হয়ে দরিদ্রদের সেবা করা। ক্যানিংয়ের এই কৃতিকে রবিবার শুভেচ্ছা জানিয়ে তার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস।
শুধু কৃতিই ছাত্র ছাত্রীই নয়, অসহায় ছাত্র ছাত্রীরা যাতে উচ্চ শিক্ষা লাভ করার জন্য কোন অর্থ সংকটে না পড়ে, সেই বিষয়ও তিনি সহযোগিতা করবেন। এমন কাজের প্রসঙ্গে বিধায়ক জানিয়েছেন, “কাজের সুযোগ পেয়েছি, মানুষের পাশে থেকে আমৃত্যু কাজ করে যাবো।
কারণ এক সময় আমিও লোকের দ্বারে দ্বারে বই চেয়ে অর্থ সাহায্য নিয়ে পড়াশোনা করেছি। সেই যন্ত্রণা আজও অনুভব করতে পারি। আমি বেঁচে থাকতে কেউ যাতে অর্থের অভাবে পড়াশোনা বন্ধ না করে, সেই দিকটা লক্ষ্য রেখে অতীতের দিন গুলো ভুলতে চাই।
যাতে ক্যানিং বাসন্তী, জীবনতলা কিংবা গোসাবার কোন ছাত্র ছাত্রী পড়াশোনার মধ্য দিয়ে বড় হয়, সেটাই হবে ক্যানিং মহকুমার গর্ব।” তিনি আরও বলেন, “তাদের সাহায্যের জন্য আমি ফেসবুক পেজও খুলেছি। পড়াশোনায় যত টাকা প্রয়োজন হোক না কেন সেটা আমি দেবোই।”