
বিশ্ব সমাচার, কাকদ্বীপ : দুই ভাইকে নিয়ে উচ্ছাসে মাতল নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন। তবে ফল ভালো হলেও, আক্ষেপ ছিলই। এবারের মাধ্যমিকে সব কিছুই দূর হল। সার্বিক ফল ভালো তো হয়েছেই, তার সঙ্গে মেধা তালিকায় জায়গা করে নিল ১২ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় যে ১৪ জন স্থান পেয়েছে পর্ষদের প্রকাশিত প্রথম ১০টি স্থানের মেধা তালিকা, তাতে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন থেকেই সিংহভাগ পড়ুয়া রয়েছে।
ফলাফলে বেশ খুশি স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বামী ইশতেশানন্দ মহারাজ। তিনি বলেন, ফল ভালো হবে সেটা প্রত্যাশাই ছিল। অনেকদিন পরে এতজন র্যাঙ্ক পেয়েছে। এটা আনন্দের।পর্ষদের প্রকাশিত মেধা তালিকায় নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন থেকে চতুর্থ, ষষ্ট, সপ্তম, অষ্টম, নবম এবং দশম স্থানাধিকারী পড়ুয়ারা রয়েছে।
এর মধ্যে আবার যজম ভাইও রয়েছে। অনীষ ও অনীক যথাক্রমে চতুর্থ ও ষষ্ট হয়েছে। তাদের নিয়েই উচ্ছ্বাস চরমে। দু’জনেরই পছন্দ, শখ প্রায় এক। পড়াশুনায় স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা থাকলেও, ছোট থেকেই এক দু’নম্বরের ফারাকে কেউ প্রথম কেউ দ্বিতীয় স্থান পেয়ে এসেছে। দুই ভাইয়ের জন্মের ব্যবধান ২৫ মিনিট।
দাদা অনীষ ও ভাই অনীক দু’জনেরই ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা। ইতিমধ্যে নরেন্দ্রপুরেই বিজ্ঞান নিয়ে ভর্তিও হয়ে গিয়েছে তারা।এবারে সার্বিকভাবে রাজ্যের বিভিন্ন রামকৃষ্ণ মিশনের ফল ভালো হয়েছে। মেধা তালিকায় যে ১১৮ জন জায়গা পেয়েছে, তার একটা বড় অংশই এই স্কুলগুলির পড়ুয়া।
নরেন্দ্রপুর, মালদহ, উত্তর ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া থেকে একাধিক ছাত্র র্যাঙ্ক করেছে। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে এবার ১২৮ জন পরীক্ষা দিয়েছিল। তার মধ্যে ১২২ জনই ৯০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর নিয়ে পাশ করেছে। সর্বোচ্চ ৬৮৯ নম্বর নিয়ে স্কুলে প্রথম হয়েছে অনীষ বারুই।
রাজ্যে তার স্থান চতুর্থ। যুগ্ম ষষ্ট হয়েছে অনীক বারুই ও সুতীর্থ পাল। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। অদ্রিজ গুপ্তা রাজ্যে সপ্তম হয়েছে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬। এছাড়াও এই স্কুল থেকে দু’জন করে অষ্টম ও নবম এবং তিনজন দশম স্থান অধিকার করেছে।