বান্টি মুখার্জি, ক্যানিং: বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি। একে রোখার জন্য ক্যানিং থানা এলাকায় পুলিশি সক্রিয়। এতদিন কোনও নাবালিকার বিয়ের খবর পেলে পুলিশ ও সমাজকর্মীরা গিয়ে তাদের পরিবারের লোকজনকে বুঝিয়ে মুচলেখা নিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দিতেন। কিন্তু বেশিরভাগ বিয়েই রাতের অন্ধকারে হয়ে যেত।
এমন ঘটনা ক্যানিং থানা এলাকার প্রায় প্রতিটি গ্রামেই। বাল্যবিবাহ রোধে পরিবর্তনের জোয়ার আসে ক্যানিং থানার আইসি সৌগত ঘোষ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে।থানা এলাকায় একাধিক বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়েছে। বেশিরভাগ বাল্যবিবাহে পুলিশ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অভিযোগ রুজু করে জামাই ও তার পরিবারের লোকজনকে জেলের ঢুকিয়ে ছেড়েছে।
যার ফলে ক্যানিং থানা এলাকার প্রতিটি প্রান্তিক গ্রামে হইচই পড়ে গিয়েছে।নাবালক-নাবালিকাদের বিয়ে দিতে ভয় পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ফলস্বরূপ ক্যানিং থানা এলাকায় বাল্যবিবাহের সংখ্যা অনেকাংশ কমে গিয়েছে বলে মত সমাজকর্মীদের। জেলা শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যা সুলগ্না ভৌমিক মণ্ডল জানান, ক্যানিং থানা এলাকায় কোনও নাবালিকার বিয়ের খবর পাওয়া মাত্রই আমরা ক্যানিং থানার আইসি সৌগতবাবুকে জানাই ।
সৌগতবাবু দ্রুত উদ্যোগ নিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন। এটা প্রশংসনীয়।এলাকাৱ সাধারন মানুষজনের দাবি, ক্যানিং থানাৱ আইসি সৌগত ঘোষ সব সময়ই সাধারণ মানুষেৱ পাশে থেকে তাঁদেৱ সমস্যাৱ কথা শোনেন এবং বাল্যবিবাহ, নারী পাচাৱ ও শিশু সক্ৰান্ত কোনও অভিযোগ পেলে দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা গ্ৰহন করেন।
সৌগতবাবুর মতে, সেই প্ৰাচীনকাল থেকে চলে আসছে বাল্যবিবাহ। এটি সমাজের অন্ধকার দিক। অল্প বয়সে গর্ভধারণের ফলে মা ও বাচ্চা উভয়েরই প্ৰাণ চলে যাচ্ছে। আবার অপুষ্টিতে ভুগছে। যেটা কখনওই কাম্য নয়। বাল্যবিবাহকে কঠিন হাতে দমন না করতে পারলে হয়তো আগামী ভবিষ্যৎ সংকটের মুখে পড়তে পারে।
তিনি আরও বলেন, বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে সমাজের সকল স্তরের সাধারণ মানুষকে একযোগে কাজ করতে হবে। তারপরই আমৱা বাল্যবিবাহমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে পারব।