খবররাজ্য

এগরা বিস্ফোরণের নেপথ্যে ১০০ দিনের কাজ না পাওয়া! দাবি তৃণমূলের

স্টাফ রিপোর্টার: এগরায় ভানু বাগের কারখানায় বাজি বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। তবে এটাই প্রথম নয়।ভানু বাগের কারখানায় এর আগেও বার দুই বিস্ফোরণ ঘটেছে। ওই বেআইনি বাজি কারখানা যে আসলে সাক্ষাৎ মৃত্যুফাঁদ, সেটা ভাল করেই জানতেন স্থানীয়রা। তবু কারখানায় শ্রমিক জোগাড় করতে অসুবিধা হত না কৃষ্ণপদ বাগের।

স্থানীয় সূত্র বলছে, গ্রামের গরিব শ্রমিকদের কম সময়ে বেশি পারিশ্রমিকের লোভ দেখিয়ে, কখনও ভয় দেখিয়ে কখনও প্রতারণা করে ঋণের জালে জড়িয়ে নিজের কারখানায় কাজ করতে বাধ্য করাত ভানু বাগ। তবে তৃণমূল বলছে, ১০০ দিনের কাজ না পাওয়াটা ওই কারখানায় শ্রমিকদের কাজ করতে যাওয়ার অন্যতম কারণ। তাই এই মৃত্যুমিছিলের দায় কেন্দ্রকেও নিতে হবে।

তৃণমূলের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টুইট করে বলা হয়েছে, ”বিজেপির উদাসীনতা গরিব মানুষের প্রাণ কাড়ছে। কেন্দ্র ১০০ দিনের টাকা বন্ধ করায় শ্রমিকদের বেআইনি কারখানায় ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে হচ্ছে। আর কতদিন ভুগতে হবে গরিব মানুষকে।”বৃহস্পতিবার তৃণমূলম ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

কুণাল বলেন, বিস্ফোরণে অভিযুক্ত ভানু অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ। একটা সময়ে বামফ্রন্টে ছিলেন। এরপর অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে তৃণমূলে আসেন।এর পুরোটার দায় দায়িত্ব অধিকারী পরিবারের বলেও দাবি তাঁর। এমনকি এলাকার এমপি এবং স্থানিয় পঞ্চায়েতও কোনও দিন অবৈধ বাজি কারখানা নিয়ে কোনও অভিযোগ করেনি বলে অভিযোগ কুণালের। তৃণমূলের এহেন যুক্তিকে খন্ডন করেছে বিজেপি।

বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, রাজ্যের শাসক দল এখন জনবিচ্ছিন্ন, জনরোষের শিকার। ঘটনাস্থলে গিয়ে জেভাবে তৃণমূল নেতারা পালিয়ে আসতে বাধ্য হলেন তা সেটাই প্রমাণ করে বলে দাবি বিজেপি নেতার। শুধু তাই নয়, ভানু ভাগের মতো লোকেরা স্থানবিয় পুলিশের হস্তক্ষেপেই এই কাজ করত। আর তা আড়াল করতেই এহেন প্রলাপ বলে দাবি শমীক ভট্টাচার্যের।

Related Articles

Back to top button
error: Content is protected !!