
স্টাফ রিপোর্টার: এগরার খাদিকুলে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সূত্রের খরর, বুধবার বেলা একটা নাগাদ এগরার খাদিকুলে পৌঁছয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল আসার পরেই প্রথমে তাঁরা ঘটনাস্থলের দিকে যান। পরিকল্পনা ছিল, কথা বলবেন নিহতদের পরিবারের সঙ্গে। গ্রামে ঢোকার মুখে তাঁদের পথ আটকানো হয় বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, সেখানে যাওয়ার সময় হঠাৎই গ্রামবাসীদের একাংশ তাঁদের ঘিরে ধরে স্লোগান দিতে শুরু করে। কার্যত বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায় তাঁদের ঘিরে। ‘তৃণমূল হটাও দেশ বাঁচাও’, ‘চোর হটাও’, এই ধরনের নানা স্লোগান শোনা যেতে থাকে।পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা সরতেই নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের কাছে যান দোলা সেন, মানস ভুইঞা-সহ স্থানীয় বিধায়ক ও অন্যান্যরা।
কথা বলেন সকলের সঙ্গে। তৃণমূল নেতৃত্বকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি করেন। দোলা সেনের আশ্বাসে খানিকটা স্বস্তি পান স্বজনহারাদের পরিবার। যদিও বাধা পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন দোলা সেন।এদিন এগরা থেকে মানস ভুঁইয়া বলেন, “চক্রান্ত চলছে। আমি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এসেছি। দেখে গেলাম। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে।
এখানকার পঞ্চায়েত কার, এখানকার মানুষ কেন আগে কিছু করেনি, তা দেখা হচ্ছে। দোষীদের ধরা হবেই।” এগরা থেকে শুভেন্দুকে তীব্র আক্রমণ করলেন দোলা সেন। তিনি বলেন, “উনি তো ছেলে মানুষ। বুঝতে পারেন না কি হয়েছে। তাই অনেক কিছু বলছেন।
তবে আমি বিশেষ কিছুই বলব না।” দোলা সেনের কথায়, “বিরোধী দলনেতা যাই বলুন না কেন, মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর উপর ভরসা করেন। সেই কারণেই সকলে বলেছেন, যেন দিদি ওদের দেখে। অভিযুক্তরা শাস্তি পায়।”