প্রদীপকুমার সিংহ, নরেন্দ্রপুর: পুলিশিম হেফাজতে আসামির মৄত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল নরেন্দ্রপুরে৷ ঘটনাটি ঘটেছে নরেন্দ্রপুর থানায়৷ এই ঘটনায় পুলিশ সুপারের কাছে নরেন্দ্রপুর থানা ও তদন্তকারী অফিসার অর্ণব চক্রবর্তীর নামে অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার৷ ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মিস পুষ্পা৷
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গড়িয়ার বাসিন্দা সুরজিৎ ওরফে সাহেব সর্দারকে গত ১৩ এপ্রিল দুপুরে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ৷
যদিও পুলিশের নথিতে ১৪ তারিখ গ্রেফতার দেখানো হয়েছে৷ চুরির মামলা দায়ের হয় অভিযুক্তের নামে৷ এর আগেও তার বিরুদ্ধে নরেন্দ্রপুর থানায় ছিনতাইয়ের ঘটনার অভিযোগ দায়ের হয়৷ তার নামে অভিযোগ রয়েছে সোনারপুর থানাতেও৷ একাধিকবার গ্রেফতারও হয়েছে অভিযুক্ত৷ ধৃত নেশাগ্রস্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে৷ দু’বার তাকে নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভর্তিও করা হয় বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে৷
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত ২০ এপ্রিল থানার লকআপেই অসুস্থ বোধ করে সুরজিৎ ওরফে সাহেব৷ প্রথমে তাকে সোনারপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়৷ সেখানেই পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার মৃত্যু হয়৷ মৃতের দাদা সুব্রত সর্দার জানান, তাঁদের কাছ থেকে টাকা চাওয়া হয়৷ দু’দফায় মোট ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন তাঁরা৷
আরও টাকা চাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ৷ তাঁর বক্তব্য, পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে তাঁর ভাইকে৷ একই কথা বলেন সাহেবের আরেক দাদা সুভাষ সর্দারও৷ তাঁরা এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত দাবি করেন৷ পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় বলেন, নরেন্দ্রপুর থানা অন্যায়ের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ধারণ করেছে৷
এই ঘটনার ন্যায্য বিচার পেতে প্রয়োজনে তাঁরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন৷ এমনকী সিবিআই তদন্তও চাইবেন বলে জানিয়েছেন তিনি৷ এসপি অফিসের পাশাপাশি কংগ্রেস নেতারা নরেন্দ্রপুর থানাতেও যান। মৃতের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করেন তাঁরা।
